ভারতে নাগরিকদের চলাফেরায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কানাডা। আজ শুক্রবার ভারত থেকে ৪১ কূটনীতিককে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নতুন এই ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে দেশটি।
সম্প্রতি কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জের ধরে ভারতের সঙ্গে দেশটির রেষারেষির সূত্রপাত হয়। নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি ভারত সরকারকে দায়ী করেছে কানাডা। তবে কানাডার এমন দাবিকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।
চলমান রেষারেষির ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ভারতে ভ্রমণরত নাগরিকদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে কানাডা বলেছে, ‘সন্ত্রাসী হামলার হুমকি থাকায় ভারতে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন।’
বিবৃতিতে নাগরিকদের অবহিত করা হয়—দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের মধ্যে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কানাডার প্রতি বিষোদ্গার এবং নেতিবাচক মনোভাবের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় ভারতে কানাডা বিরোধী বিক্ষোভ ও সহিংসতা ঘটতে পারে। ভয় দেখানো ছাড়াও হয়রানির শিকার হতে পারে কানাডীয়রা।
এ অবস্থায় ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায় অপরিচিতদের সঙ্গে নিজের পরিচয় প্রকাশে সংযমের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করার জন্য নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছে কানাডা।
এর আগে আজ দিনের শুরুতেই ভারত থেকে ৪১ কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে কানাডা সরকার। পাশাপাশি তারা ভারতের মুম্বাই, চণ্ডীগড় এবং বেঙ্গালুরুতে থাকা কনস্যুলেটগুলোর সেবা বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় ওই শহরগুলোতে অবস্থান করা নাগরিকদের উচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি জরুরি কোনো সেবার প্রয়োজন হলে দিল্লিতে অবস্থিত হাইকমিশনে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়—বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড় এবং মুম্বাইয়ে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। এই শহরগুলোতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কনস্যুলার সেবা অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও বলা হয়—এই শহরগুলোতে পকেটমার এবং ছিনতাইয়ের মতো ছোটখাটো অপরাধ প্রায়ই ঘটে। বিদেশিরা অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বিশেষ করে বড় শহর এবং পর্যটন এলাকাগুলোতে। চলাফেরায় সঙ্গে বেশি টাকা-পয়সা না রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নাগরিকদের।
গত মাসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা নিজ্জার হত্যার জন্য সরাসরি ভারতীয় গোয়েন্দাদের দায়ী করেছিলেন। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে।