হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

নাইট্রোজেন ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে নির্যাতনের সমান: জাতিসংঘ

নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে এবং অক্সিজেন না দিয়ে বিশ্বের প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্য। এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নির্যাতনের পর্যায়ে যেতে পারে—এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও পদ্ধতিটির সমালোচনা করেছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি।

আজ শুক্রবার ভলকার তুর্ক বলেছেন, নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে শ্বাসরোধে যুক্তরাষ্ট্রে একজন খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নির্যাতনের সমান হতে পারে। সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গুরুতর উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও আলাবামাতে কেনেথ ইউজিন স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করছি। নাইট্রোজেন গ্যাস দ্বারা শ্বাসরোধের পদ্ধতিটি এখনো পরীক্ষামূলক। এটি নির্যাতন বা নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ হতে পারে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মার্কিন রাজ্য আলাবামাতে একজন দোষী সাব্যস্ত খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনায় গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে ইইউয়ের এক মুখপাত্র বলেন, শীর্ষ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের মতে, শাস্তি হিসেবে এই পদ্ধতিটি অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক।

আলোচিত ও সমালোচিত এই পদ্ধতিতে স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেনেথ ইউজিন স্মিথ নামে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মূলত মারণ ইনজেকশন ব্যবহারের বদলে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি আরও সহজ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। আলাবামা সরকারের দাবি, এটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সবচেয়ে কম বেদনাদায়ক ও মানবিক পদ্ধতি হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত।

তবে আগে থেকেই আলাবামা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও স্মিথের আইনজীবী। কিন্তু আলাবামা সরকার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীর দাবি, পদ্ধতিটি ঝুঁকিপূর্ণ, পরীক্ষামূলক এবং এটি একটি নির্যাতনমূলক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা পদ্ধতি। এমনও হতে পারে, এই পদ্ধতিতে ব্যক্তির মৃত্যু না হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

এর আগে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে কেনেথ ইউজিন স্মিথের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। সেই হিসেবে এটি যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রথম ঘটনা।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ২৭টি দেশ বিশ্বজুড়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিরোধিতা এবং সমালোচনা করে আসছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামের এক নারীকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন স্মিথ। জানা গেছে, একটি বিশেষ মাস্কের মাধ্যমে স্মিথের শরীরে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট নাইট্রোজেন প্রবেশ করা হয়। পরে আস্তে আস্তে তাঁর মৃত্যু ঘটে।

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

ধনী খদ্দেরদের জন্য কিশোরীদের যেভাবে বাছাই করতেন এপস্টেইন—উঠে এল এফবিআইয়ের তদন্তে

বিল ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের ছবিসহ ১৬ এপস্টেইন নথি গায়েব

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা

জনপ্রিয়তায় ধস: জাতির উদ্দেশে ভাষণে নিজের গুণগান আর সেনাদের খুশি রাখার কৌশলে ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার তেল আমাদের সম্পদ, বললেন ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী

মাস্ক ‘মাদকসেবী’, ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ

ফিলিস্তিনসহ আরও যে ৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিল বিবিসি