Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

ঋণখেলাপি হওয়ার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র 

অনলাইন ডেস্ক

ঋণখেলাপি হওয়ার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র 

কংগ্রেস উদ্যোগ না নিলে ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন। এর আগে ঋণের সীমা বাড়াতে হবে বা ঋণগ্রহিতা কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা স্থগিত করতে হবে। তা না হলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আগামী ৯ মে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বসবেন বলে সিএনএন জানিয়েছে।

কংগ্রেস ও সিনেট নেতাদের পাঠানো চিঠিতে ইয়েলেন বলেছেন, ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের সীমা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিতে হবে। যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নগদ অর্থ ফুরিয়ে যেতে পারে।

‘ঋণসীমা নিয়ে আগের অচলাবস্থার অভিজ্ঞতা আমাদের বলে, শেষ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করলে ব্যবসার ক্ষতি হয়, ভোক্তাদের আস্থা নষ্ট হয়, করাদাতাদের ঋণ নেওয়া কষ্টকর হয় এবং সর্বোপরি যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণসীমা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা কয়েক মাস স্থবির থাকার পর গত সোমবার ট্রেজারি সেক্রেটারি এই সতর্কবার্তা দেন। তাতে কংগ্রেসের চার নেতাকে এক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর ফলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রিপাবলিকানদের মধ্যে আলোচনায় বসার চাপ তৈরি হলো।

কংগ্রেসকে পাঠানো চিঠিতে ইয়েলেন লিখেছিলেন, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুনের ১ তারিখের মধ্যে কংগ্রেস ঋণসীমা নির্ধারণ না করলে সরকার দায় পরিশোধে ব্যর্থ হবে—এটিই এখন সবচেয়ে গুরুতর শঙ্কার বিষয়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে রিপাবলিকান হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি, হাউস ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফ্রিস, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার ও রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর বিল পাস নিয়ে আলোচনা করতে চান তিনি।

মিচ ম্যাককনেল রয়টার্সকে বলেন, বাইডেনের সঙ্গে ভালো আলাপ হয়েছে। আবারও কথা হবে।

গত সপ্তাহে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ঋণসীমা নির্ধারণে বিল পাস করে রিপাবলিকানরা। দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে এয়ার-ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ব্যয় কমানোর প্রস্তাব রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিণে থাকা সিনেট ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলছেন, তাঁরা এই বিল অনুমোদন করবেন না। 

বাইডেন বলেছেন, ‘ঋণসীমা বাড়ানো নিয়ে আমি কোনো আলোচনা করব না। তবে নতুন সীমা নির্ধারণের পর ব্যয় কমানোর বিষয়ে কথা বলব।’ 

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, তিনি ঋণসীমা নিয়ে আলোচনা করতে ম্যাকার্থির সঙ্গে একেবারেই দেখা করবেন না। ঋণখেলাপি ঘোষিত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে কোনো শর্ত ছাড়াই পদক্ষেপ নিতে ৯ মে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে কংগ্রেসকে চাপ দেবেন বাইডেন।

অজানা অনেক কথায় ২০ বছর পর নীরবতা ভাঙলেন মাইকেল কন্যা প্যারিস

বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করা নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ, ডেমোক্র্যাট শিবিরে উল্লাস

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘যেকোনো যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত চীন

ইউক্রেনকে আর কোনো গোয়েন্দা তথ্য দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নাগরিকত্ব বিক্রি করছে ছোট্ট এক দ্বীপদেশ

ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে কানাডার অভিযোগ

বিশ্বের অর্ধেক কার্বন ডাই-অক্সাইডের জন্য দায়ী মাত্র ৩৬টি জ্বালানি কোম্পানি

তোমাদের ধনী বানিয়ে দেব—ট্রাম্পের প্রলোভনের কী জবাব দিল গ্রিনল্যান্ড

শান্তি আলোচনায় বসতে ইউক্রেন রাজি, জেলেনস্কির চিঠি পেয়েছেন ট্রাম্প

মার্কিন ব্ল্যাকরকের কাছে পানামা খালের শেয়ার বিক্রি করছে চীনা প্রতিষ্ঠান