হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

মার্কিনবিরোধীদের সঙ্গে জাতিসংঘের যোগাযোগ আছে কি না, জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

জাতিসংঘের বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থাকে কিছু প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব প্রশ্নে তাদেরকে ‘মার্কিনবিরোধী’ বিশ্বাস বা সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি) থেকে পাঠানো ৩৬টি প্রশ্নের একটি ফরম পেয়েছে। সেখানে একটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, কমিউনিজমের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ও রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটিসহ বিশ্বের বেশ কিছু মানবিক সাহায্য সংস্থা এ প্রশ্নপত্র পেয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন টেক মোগল ইলন মাস্কের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সরকারি ব্যয় কমানোর অভিযান শুরু করে। ইতিমধ্যে দেশটি তাদের বৈদেশিক সাহায্যের প্রায় ৮৩ শতাংশ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে। জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে, ওএমবির এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের মানবিক কাজ বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে বেরিয়ে আসেন। এখন নতুন এই প্রশ্নাবলির মাধ্যমে মার্কিন সরকার জাতিসংঘসহ মানবিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রতি তাদের অবস্থান আরও কঠোর করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওএমবি কর্তৃক পাঠানো ৩৬টি প্রশ্নের মধ্যে এমন কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের নীতির প্রতিফলন ঘটায়। যেমন—

  • জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থাগুলো কি নিশ্চিত করতে পারবে, তারা কমিউনিস্ট, সমাজতান্ত্রিক বা একনায়কতান্ত্রিক কোনো দলের সঙ্গে কাজ করে না?
  • তারা চীন, রাশিয়া, কিউবা বা ইরানের কাছ থেকে কোনো তহবিল গ্রহণ করে না?
  • তাদের এমন কোনো প্রকল্প রয়েছে, যেখানে ‘বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই)’ বা ‘জলবায়ু পরিবর্তন’-সংক্রান্ত কার্যক্রম নেই?

এসব প্রশ্ন ইউনিসেফ বা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মতো সংস্থাগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। কারণ, ইউনিসেফ লৈঙ্গিক সমতার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং ডব্লিউএফপি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়কে সহায়তা করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মার্কিন সরকার জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না, ৩৬টি প্রশ্ন তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের অধ্যাপক কার্ল ব্ল্যাঞ্চেট বলেছেন, এটি মূলত বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিপরীতে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রতিফলন। তবে এটা সত্য যে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সব সহযোগিতা বন্ধ করতে চলেছে।

অন্যদিকে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সংস্থাটির এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ/না ছিল এবং ব্যাখ্যার সুযোগ ছিল সীমিত। ফলে আমরা সরাসরি ফরমটি পূরণ না করে ই-মেইলের মাধ্যমে উত্তর দিয়েছি।’

এ ছাড়াও ফরমটিতে এমন কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা সরাসরি ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন—

  • আপনাদের প্রকল্পগুলো কি ‘মার্কিন সরবরাহ চেইনকে শক্তিশালী করা বা দুর্লভ খনিজ সম্পদ সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টাকে’ প্রভাবিত করতে পারে?

বৈদেশিক সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় কম। তবে বিশাল অর্থনীতির কারণে দেশটি এখনো বৈশ্বিক মানবিক তহবিলের ৪০ শতাংশ একাই সরবরাহ করে।

ওএমবি ও জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন মিশনের কাছে বিবিসি এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করেছিল। তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গরম কফিতে দগ্ধ ডেলিভারি ম্যান, ৬০৬ কোটি টাকা দিতে হবে স্টারবাকসকে

বোয়িংয়ের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে মার্কিনরা

সন্তানদের নাম নেই হ্যাকম্যানের উইলে, কে পাবে ৯৭১ কোটি টাকার সম্পত্তি

কনুই উঁচিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা আক্রমণের বার্তা দিচ্ছেন কানাডীয়রা

অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কারে যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ করতে চান ট্রাম্প

ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মীকে ছুটি, দুটি সংস্থার তহবিল বন্ধ

ভয়াবহ ঝড়ের কবলে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চল, প্রাণহানি ৩৪

এশিয়ার ১০টিসহ ৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প

বড়দের সঙ্গে ‘পাঙ্গা নেওয়া’ উচিত নয়: ইউক্রেনকে ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের খাদ্য সহায়তা বন্ধে দুর্ভিক্ষ হতে পারে বিশ্বজুড়ে