অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির সিক্রেট সার্ভিস। মূলত, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হত্যাচেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এই তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দারা।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ায় একটি সমাবেশে এক আততায়ীর হামলা থেকে ট্রাম্প অল্পের জন্য বেঁচে যান। সর্বশেষ, গত রোববার ফ্লোরিডায় পাম বিচে একটি গল্ফ কোর্সে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থীর ওপর আবারও হামলা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইলন মাস্ক তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছিলেন, ‘এবং কেউ বাইডেন বা কমলাকে হত্যা করার চেষ্টাও করছে না????’ মাস্কের এই পোস্টের পরপরই ডেমোক্র্যাট পার্টির অনুসারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অবশ্য কিছুক্ষণ পর তিনি সেই পোস্ট মুছে ফেলেন।
গত বুধবার ব্লুমবার্গ মার্কিন তথ্য অধিকার আইনে সিক্রেট সার্ভিসের কাছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানায়, তাঁরা মাস্কের সেই পোস্ট-সংক্রান্ত বিষয়টি নথিবদ্ধ করেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য তারা প্রদান করেনি। সিক্রেট সার্ভিস বলেছে, এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হলে আইনি কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র ন্যাট হেরিং ব্লুমবার্গকে বলেছেন, সিক্রেট সার্ভিস ইলন মাস্কের শেয়ার করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের বিষয়ে অবগত। আমাদের অনুশীলনের অংশ হিসেবে আমরা গোপন তথ্যের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করি না। তবে আমরা এটি নিশ্চিত করতে পারি যে, সিক্রেট সার্ভিস সব হুমকির তদন্ত করে।
ব্লুমবার্গের মতে, মাস্ককে সম্ভবত সিক্রেট সার্ভিস একটি নোটিশ পাঠাবে, যেখানে তাঁকে প্রমাণ করতে বলা হবে যে, তিনি বাইডেন ও হ্যারিসের জন্য হুমকি নন।