অনলাইন ডেস্ক
অতি শক্তিশালী হয়ে ‘বিপর্যয়কর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হেনেছে বেরিল। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ক্যারিবীয় অঞ্চলের বার্বাডোজ, গ্রানাডাসহ বেশ কয়েকটি দ্বীপে আঘাত হানে সম্ভাব্য বিপর্যয়কর ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গভীর নিম্নচাপ থেকে ক্রমেই শক্তিশালী রূপ নিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ক্যারিবীয় দ্বীপ ক্যারিয়াকোতে আঘাত হানে এটি। এরপর সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে বেরিল। অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে আঘাত হানে উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানায়, স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল থেকে দ্রুত সরে যাওয়ার সময় আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৫ মাইল। এর সঙ্গে জলোচ্ছ্বাস আর অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বেশ কিছু উপকূলীয় এলাকা।
সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে গ্রানাডা ও বার্বাডোজ দ্বীপে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্কুল, বাড়িঘর ও কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গ্রানাডার ৯৫ ভাগ এলাকা। বন্ধ হয়ে গেছে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবাও।
আবহাওয়াবিদদের মতে, বেরিল এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুন মাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এই ঘূর্ণিঝড় ক্যাটাগরি-৫-এ উন্নীত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বেরিল এখন একটি সম্ভাব্য বিপর্যয়কর ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিমত্তায় কিছু তারতম্য থাকলেও বেরিল এখনো বড় আকারের ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা নিয়েই এগিয়ে যাবে।’
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। উপকূলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি শুকনো খাবার সংগ্রহ করেছে দ্বীপের বাসিন্দারা। এ ছাড়া আপৎকালীন মজুত রাখা হয়েছে জ্বালানি তেল। ২০০৪ সালের ঘূর্ণিঝড় ইভানের পর অঞ্চলটিতে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা।