কানাডার সংসদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই ভোটে ট্রুডো সরকারের পতন হলে কানাডায় নতুন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেই সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবার রাতে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত দিনগুলোতে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো ট্রুডোর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে সংসদে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেছে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি।
স্থানীয় সময় অনুযায়ী, বুধবার বিকেলে (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী মাঝরাত) কানাডার পার্লামেন্টে ওই অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এদিন আবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে আতিথ্য দেবেন ট্রুডো। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভোট ট্রুডো সরকারের পতন ঘটাতে ব্যর্থ হবে। কারণ কানাডার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এবং ব্লক কুইবেকোস এই ভোটকে সমর্থন দেবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
গত নয় বছর ধরে সংখ্যালঘু সরকারের অধীনে কানাডার প্রধানমন্ত্রিত্ব করছেন ট্রুডো। ২০২১ সালে দেশটির সর্বশেষ ফেডারেল নির্বাচনের পর তাঁর দল লিবারেল পার্টি এনডিপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ায় ট্রুডোর নেতৃত্ব এখনো টিকে আছে। তবে চলতি মাসেই ট্রুডোর উদারপন্থী সরকারের সমালোচনা করে জোট থেকে বেরিয়ে গেছে জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন এনডিপি। এরপরই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। কনজারভেটিভ দলের নেতা পিয়েরে পোইলিভ অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেছেন।
প্রস্তাবটি পাস করার জন্য ৩৩৮ জন সংসদ সদস্যের বেশির ভাগকে এর পক্ষে ভোট দিতে হবে। বর্তমানে কানাডার পার্লামেন্টে ট্রুডোর লিবারেল পার্টির ১৫৩ জন সাংসদ রয়েছেন। তারা স্বাভাবিকভাবেই অনাস্থা ভোটের বিরোধিতা করবে। আর অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব আনা কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদ আছেন ১১৯ জন। তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন। তবে অপর দুটি দল এনডিপি এবং ব্লক কুইবেকয়েসও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন নিয়ন্ত্রণ করে। এই আসনগুলোর নির্বাচিত সাংসদেরা প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে ভোট দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে তাঁদের দল। এমন হলে ট্রুডোকে ক্ষমতাচ্যুত করার কাছাকাছিও যেতে পারবে না বিরোধীরা।