বহু বিলম্বের পর তুরস্কের কাছে ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের ৪০টি নতুন ফাইটার জেট এফ–১৬ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে মার্কিন সরকার। ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদানে আঙ্কারা সায় দেওয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র।
এ চুক্তিতে তুরস্কের ৭৯টি এফ–১৬ জেটের জন্য আধুনিকায়ন সরঞ্জামও অন্তর্ভুক্ত আছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কংগ্রেসকে বলেছে, গ্রিসের কাছে ৮৬০ কোটি ডলারের ৪০টি এফ–৩৫ ফাইটার জেট বিক্রির অনুমোদনও দিয়েছে।
এক বছরেরও বেশি বিলম্বের পর গত ২৩ জানুয়ারি তুরস্ক সুইডেনের ন্যাটো অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দেয়। এ কারণে জোট নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।
২০২১ সালে তুরস্ক প্রথম ফাইটার জেট কেনার জন্য আবেদন করে। তবে সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে দেশটির অসম্মতি এ আবেদনে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষে সুইডেনের সমর্থনের কারণে উদ্বিগ্ন ছিল তুরস্ক।
চলতি সপ্তাহে তুর্কি সাংসদরা সুইডেনের প্রস্তাব অনুমোদন করেন এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তাঁর চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।
এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনতিবিলম্বে এফ–১৬ বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানান।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের কারণে কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে ন্যাটো রক্ষাকবচ হিসেবে তুরস্কের গুরুত্ব বেড়ে গেছে।
সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সভাপতি ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর বেন কার্ডিন বলেন, ‘আমার অনুমোদন নির্ভর করছে সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ লাভে তুরস্কের অনুমোদনের ওপরই।’ অস্ত্র সরবরাহের জন্য অনুমোদন প্রয়োজন এমন চারটি মূল কমিটির মধ্যে একটি হলো সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটি।
তিনি বলেন, ‘তবে কোনো ভুল করবেন না: এ সিদ্ধান্ত আমি চিন্তা–ভাবনা ছাড়াই নেই নি।’
তিনি বলেন, তুরস্কের মানবাধিকার রেকর্ড উন্নত করার পাশাপাশি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহি করার জন্য আরও কিছু করা দরকার।
এখন হাঙ্গেরি একমাত্র ন্যাটো সদস্য যারা এখনো সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দেয়নি। যদিও সম্প্রতি এ বিষয়ে অগ্রগতির লক্ষণ দেখা গেছে।
গত বছর, ইউক্রেনের পাইলটরা পুরোপুরি প্রশিক্ষিত হওয়ার পর ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস থেকে মার্কিন এফ–১৬ ফাইটার জেট সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।