অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন, গাজায় জলপথে ত্রাণসহায়তা দেওয়ার জন্য একটি অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ করবে তাঁর দেশ। এই কাজে ইসরায়েলও জড়িত থাকবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, এই অস্থায়ী বন্দর নির্মাণে ৬০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার জো বাইডেন জানান, গাজায় যে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ করা হবে তার নিরাপত্তার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবে ইসরায়েল। তাঁর এই ঘোষণা এমন এক সময় এল, যখন অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে অনাহারের কারণে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় অন্তত ২৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, গাজায় অস্থায়ী এই বন্দর তৈরির পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়ন করতে ৬০ দিন সময় লাগতে পারে। পেন্টাগন আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন ২০ লাখ গাজাবাসীর জন্য এক বেলার খাবার সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ও মার্কিন বিমানবাহিনীর মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রেইডার জানিয়েছেন, গাজায় বন্দর তৈরির প্রকল্পে সম্ভবত ১ হাজার মার্কিন সেনা কাজ করবেন। এই মার্কিন সেনারা গাজার উপকূলেই কাজ করবেন। তাঁরা গাজার অভ্যন্তরে কোনো ধরনে কার্যক্রমে জড়িত হবেন না বলেও জানিয়েছেন রেইডার।
মার্কিন বিমানবাহিনীর এই জেনারেল আরও জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে কী পরিমাণ খরচ হতে পারে তা এখনো অনুমান করা সম্ভব হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা-সংগঠন ও সহায়তাদাতা গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে নিয়মিত, যাতে কীভাবে গাজায় ত্রাণসহায়তা পাঠানো হবে সে বিষয় নিশ্চিত করা যায়।
মেজর জেনারেল রেইডার আরও জানিয়েছেন, গাজার সমুদ্র উপকূলে তৈরি হতে যাওয়া অস্থায়ী বন্দরের জেটির দৈর্ঘ্য হবে ১৮০০ ফুট, যা গভীর সমুদ্র থেকে ভাসমান বার্জের সহায়তায় টেনে আনা হবে উপকূল পর্যন্ত। তিনি জানিয়েছেন, এই জেটি প্রস্তুত হয়ে গেলে প্রতিদিন গাজায় ২০ লাখ মানুষের জন্য একবেলার খাবার সহায়তা আনা সম্ভব হবে।