যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে কৃষ্ণসাগরের ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনায় সরাসরি রাশিয়ার দিকে আঙুল তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
পেন্টাগন বলছে, রাশিয়ার বিমানবাহিনীর সু-২৭ ফ্ল্যাংকার ফাইটার জেট উত্তর কৃষ্ণসাগরের ওপর ব্যস্ত আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় একটি মনুষ্যবিহীন মার্কিন মিলিটারি রিপার ড্রোনের প্রপেলারে আঘাত করে। পরক্ষণেই ড্রোনটি সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়।
আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রুটিন মিশনে থাকা একটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনকে আটকানোর চেষ্টা করছিল দুটি রুশ যুদ্ধবিমান। এ সময় বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিমানগুলো বেপরোয়া ও অপেশাদার কৌশলে ড্রোনটিতে জ্বালানি ফেলে। একপর্যায়ে যুদ্ধবিমানের আঘাতে ড্রোনটি কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তবে বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করে রাশিয়া বলেছে, কৌশলে মহড়া দিতে গিয়েই মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্ত হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ যুদ্ধবিমান কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি কিংবা ড্রোনটির সংস্পর্শেও আসেনি। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে ড্রোনটি শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানায় মস্কো।
এ ঘটনায় ওয়াশিংটনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভকে তলব করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করার পর রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ সাংবাদিকদের জানান, যা ঘটছে, তা বিবেচনায় নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিমিয়াকে রাশিয়া ফেডারেশনের একটি অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, সেখানে রাশিয়ান নৌবাহিনী বা বিমানবাহিনীকে উসকে দেওয়ার আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কি না।