গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই ইসরায়েলে আরও বোমা ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর অনুমোদন দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন এই অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রশাসনের ওই দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ২ হাজার পাউন্ড বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন আরও অন্তত ১ হাজার ৮০০ এমকে-৮৪ বোমা, ৫০০ পাউন্ড বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন এমকে-৮২ সিরিজের বোমা পাঠাচ্ছে। এ ছাড়া অন্তত ২৫টি এফ-৩১এ যুদ্ধবিমানও পাঠাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ইসরায়েলের জন্য এই সামরিক সহায়তা এমন একসময়ে পাঠানো হচ্ছে, যখন গাজায় ইসরায়েলি নির্বিচার বোমা হামলার কারণে অকাতরে মানুষ মরছে এবং বিশ্বজুড়ে দেশটির বিরুদ্ধে নিন্দার ঢেউ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া, যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, সে সময়ে এই সহায়তা পাঠানো ফিলিস্তিনি পক্ষ তথা হামাসের মধ্যে সন্দেহের জন্ম দিতে পারে।
বোমা সহায়তার বিষয়টি সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত। তবে যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়টি অনেক পুরোনো। মার্কিন কংগ্রেস ২০০৮ সালের ইসরায়েলকে ২৫ এফ-৩৫এ যুদ্ধবিমান সহায়তা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু সেই সহায়তা তখন দেওয়া হয়নি, এখন দেওয়া হবে। বর্তমান বাজার অনুসারে এই যুদ্ধবিমানগুলোর মূল্য ২৫০ কোটি ডলার।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের অন্য দেশগুলো। তিনি বলেছেন, ‘সৌদি আরব, কাতার, জর্ডানসহ আমরা অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। তারা ইসরায়েলকে পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। প্রথমবারের মতো এই প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও ৭৬ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। তবে কিছুদিন আগেই সৌদি আরব জানিয়েছিল, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হলে এবং ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসারে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না সৌদি আরব।