অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সম্প্রতি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইস্যুতে তেল আবিব ও রিয়াদের মধ্যে স্পষ্ট মতদ্বৈধতা দেখা দেওয়ায় সেই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এক শুনানিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘সৌদি আরব গাজায় যুদ্ধবিরতি ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি করে এবং এটি ভালো। তবে ইসরায়েল বিষয়টি এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক নয়।’ এ সময় তিনি ইসরায়েলকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘দেশটিকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, দেশটির প্রতিষ্ঠাকালীন চাওয়া অর্জন করার জন্য এই সুযোগের (ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নেওয়ার বিপরীতে সৌদি আরবের স্বীকৃতি) সদ্ব্যবহার করতে চায় কি না।’
কংগ্রেসের শুনানিতে ব্লিঙ্কেন ডান ও বাম উভয়পন্থীদের কাছে সমালোচনার সম্মুখীন হন। রিপাবলিকানরা বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বলেন, ডেমোক্র্যাট সরকার গাজার বেসামরিকদের সাহায্য করার জন্য খুব একটা কাজ করেনি।
ডেমোক্রেটিক নিয়ন্ত্রিত সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সামনে শুনানি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে রিপাবলিকানরা ব্লিঙ্কেনকে বাধা দেন। তাঁরা সেখানে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘ব্লিঙ্কেনের হাতে রক্ত লেগে আছে।’ এ সময় একজন প্রতিবাদকারী ব্লিঙ্কেনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘অপরাধী’ বলে আখ্যা দেন। পরে সেই বিক্ষোভকারীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বের করে নিয়ে যান।