গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে বাজে পারফরম্যান্স করেন ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এর জন্য এবার তিনি দায়ী করেছেন বিদেশ ভ্রমণকে। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, একের পর এক সফরের কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। আর তারই প্রভাব পড়েছে বক্তৃতায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাইডেন বলেন, ‘আমি আমার প্রতিযোগীর কথা ঠিকমতো শুনতে পাইনি। আর ক্লান্তির কারণে মঞ্চে প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।’
বিতর্কে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। টেক্সাসের এক ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতা তাঁকে আসন্ন নভেম্বরের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে নিতে এমন মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্টে বাইডেন।
এক বিবৃতিতে ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতা লয়েড ডগেট বলেন, ‘আমি আশা করি, তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের মতো বেদনাদায়ক ও কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়ায় একটি ব্যক্তিগত তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে বাইডেন তাঁর বিদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমি কোনো অজুহাত দিচ্ছি না, বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি।’
এবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, বাইডেন তাঁর বাজে পারফরম্যান্সের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তিনি মনে করেন, এটি তাঁর পুনর্নির্বাচনে কোনোও প্রভাব ফেলবে না।
সংবাদপত্রটি আরও জানিয়েছে, ভ্রমণের কারণে তিনি এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন যে বিতর্কের প্রস্তুতি দুই দিন কমানো হয়েছিল, যাতে তিনি বিশ্রাম নিতে পারেন।
বাইডেনের বয়স নির্বাচনে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক জরিপে দেখা গেছে, ভোটাররা মনে করেন তাঁর বয়স জয়ের জন্য বাঁধা হতে পারে।
বিতর্কে ভালো করতে না পারলেও নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।
অস্টিনের এক ডেমোক্রেটিক প্রার্থী বলেন, ‘ভোটারদের আশ্বস্ত করার পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট নিজের অনেক কৃতিত্বকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে ও ট্রাম্পের মিথ্যার ফুলঝুড়ি ধরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
বয়সের কারণে বাইডেন ট্রাম্পের কাছে হেরে যেতে পারেন বলেও উল্লেখ করেছেন এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।
কিছু সুপরিচিত ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতাও বাইডেনের বয়স ও সামর্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে তারা কেউ ডগেটের মতো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেননি।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অন্যতম সমর্থক ও দক্ষিণ ক্যারোলিনার কংগ্রেস সদস্য জিম ক্লাইবার্ন বলেছেন, বাইডেন পদত্যাগ করলে তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সমর্থন দেবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী বাইডেন বা হ্যারিসের মধ্যেই একজন হোক।’