বিশ্বজুড়ে এখনো কমেনি করোনার প্রকোপ। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা। বিশ্বের অনেক দেশেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে টিকা কতটুকু কার্যকরী, এ নিয়ে রয়েছে সংশয়। এমন পরিস্থিতিতে আজ বুধবার টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার-বায়োএনটেক এক বিবৃতিতে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে তাঁদের টিকার তৃতীয় ডোজ কার্যকরী বলে দাবি করেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকা কার্যকরের এই ঘোষণা টিকা উৎপাদনকারী কোনো কোম্পানির পক্ষ থেকে এটিই প্রথম।
বিবৃতিতে ফাইজার-বায়োএনটেক জানিয়েছে, টিকার তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকরী এটি ল্যাবে পরীক্ষিত হয়েছে। প্রয়োজনে আগামী বছরের মার্চে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে আরও কার্যকরী টিকা আনা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের করোনা টিকার প্রথম দুই ডোজ তুলনামূলক কম হারে অ্যান্টিবডি সক্রিয় করছে। তবে তৃতীয় ডোজটি অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়িয়ে দেবে। ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের দেহে বুস্টার ডোজ দেওয়ার মাসখানিক পর সংগৃহীত রক্তের নমুনা পরীক্ষায় বিষয়টি দেখা গেছে।
ফাইজারের প্রধান অ্যালবার্ট বোরলা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বেশিসংখ্যক মানুষ যেন করোনা টিকার দুই ডোজই নিতে পারে সেটি নিশ্চিত করা এবং করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে বুস্টার ডোজ হতে পারে ভালো সমাধান।’
এর আগে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকাগুলোর কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একজন কর্মকর্তা।
কর্মকর্তা ড. মাইক রায়ান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় ওমিক্রন কোভিড টিকার সুরক্ষা বা কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে পারে, এমন কোনো ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। গত ২৬ নভেম্বর করোনার এই নতুন ধরনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ বলে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।