যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে ডাকাতির সময় বাংলাদেশি এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। বাংলাদেশ সময় গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে সেন্ট লুইস শহরের হ্যাম্পটন অ্যাভিনিউয়ের একটি গ্যাসস্টেশনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শোক জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। গতকাল বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ফেসবুকে শোকবার্তা দেওয়া হয়। তাতে ওই শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় দেওয়া হয়নি।
তবে মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, নিহত রমিম উদ্দিন আহমেদ (২২) চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ভালুকিয়া এলাকার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুদ্দিন আহমেদের ছেলে। ২০১৬ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন।
দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইস এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় নিহত ২২ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আশা করি, যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের তদন্ত করবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের জন্য সমবেদনা।’
নিউজ পোর্টাল বিএনএন ডটনেটওয়ার্কের খবরে বলা হয়, রমিম তাঁর আন্টির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর মিসৌরির স্থানীয় একটি কলেজে উচ্চতর শিক্ষা নিচ্ছিলেন। পাশাপাশি নিজের খরচ জোগানোর জন্য একটি গ্যাসস্টেশনে খণ্ডকালীন কাজ করতেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাংলাদেশি সাংবাদিক মোহাম্মদ মনজুরুল হক ঘটনার বিষয়ে জানান, একদল দুর্বৃত্ত যখন রমিমের পার্ক করা গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, তখন রমিম গ্যাসস্টেশনে কাজ করছিলেন। ঠেকাতে গেলে একজন তাঁর ওপর গুলি চালায়। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, হামলাকারীরা সম্ভবত রমিমের গাড়ি ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জাটাভিয়ান স্কট নামে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।