অনলাইন ডেস্ক
সাবরিনা ক্রাসনিকি একজন কসোভো-আলবেনীয় মডেল। বসবাস করতেন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ফ্লোরিডার সাউথ ওশান ড্রাইভে নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, ওই এলাকাটিতে প্রথমে পাঁচটি গুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর আরও একটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়। পরে একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়—গোলাগুলির ঘটনাস্থলে একটি হৃদয় আকৃতির বাক্স, গোলাপ ফুল এবং একটি টেডি বেয়ার পড়ে আছে। আর অ্যাপার্টমেন্টের বাইরের বেলকনিতে একটি হলুদ চাদরে জড়ানো অবস্থায় সাবরিনার মরদেহটিও পড়ে ছিল।
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, ২৭ বছর বয়সী সাবরিনা ক্রাসনিকি তাঁর ৩৪ বছর বয়সী স্বামী পাইটিমি ক্রাসনিকিকে পাঁচবার গুলি করার পর নিজেও একটি গুলিতে আত্মহত্যা করেছেন। ফ্লোরিডার মায়ামি সংলগ্ন হ্যাল্যান্ডেল বিচ এলাকায় সমুদ্রের পাশেই একটি বিলাসবহুল কন্ডোতে বাস করতেন এই দম্পতি। যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী, গত ২৭ নভেম্বর রাত ১২টা ৩০ মিনিটে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।
হ্যাল্যান্ডেল বিচ পুলিশ সাবরিনা এবং পাইটিমির মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর ড্রোন ফুটেজে অ্যাপার্টমেন্টের কাচের দরজায় গুলির চিহ্ন এবং রক্তের দাগ দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে হৃদয়-আকৃতির বাক্স, গোলাপ এবং একটি টেডি বিয়ার দেখে ধারণা করা হচ্ছে, মর্মান্তিক ঘটনাটির আগে একটি রোমান্টিক পরিবেশ ছিল সেখানে।
এই দম্পতির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন পাইটিমি ক্রাসনিকির বোন আলবানা ক্রাসনিকি। ঘটনার পরদিন গত ২৮ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি। আলবানা লিখেছেন, ‘থ্যাংকসগিভিংয়ের সন্ধ্যা পরিবারের সঙ্গে কাটানোর বদলে আমি পুলিশ, গোয়েন্দা ও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কাটিয়েছি। তারা আমার ছোট ভাইয়ের নির্মম এবং অর্থহীন হত্যার কথা বলছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘পাইটিমির স্ত্রী পাঁচটি গুলি করে আমার ভাইয়ের জীবন কেড়ে নিয়েছে। যাকে সে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করত, যার সঙ্গে সে জীবন কাটাতে চেয়েছে, সে-ই তার জীবন শেষ করে দিল। সে পাইটিমির ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’