ঢাকা: মেক্সিকোতে আরও কোভিড-১৯ টিকা রপ্তানি করছে ফাইজার। মার্কিন প্ল্যান্টে তৈরি টিকার ডোজ প্রথমবারের মতো কোনো দেশে রপ্তানি করতে যাচ্ছে মার্কিন কোম্পানিটি। এই সপ্তাহেই চালানটি মেক্সিকো পৌঁছবে বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি সূত্র রয়টার্সকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
সূত্র আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজারের মিশিগানের কালামাজু প্ল্যান্টে তৈরি এই ডোজগুলো মেক্সিকোতে রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত মূলত সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশ থেকে টিকা ও টিকা তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিলেন। গত মার্চের শেষের দিকে সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী চাপের মুখে বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন এবং দেশে অনুনমোদিত হওয়া সত্ত্বেও মজুতকৃত অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছে।
ধনী দেশগুলো উচ্চ কার্যকারিতার কারণে ফাইজার এবং মডার্নার টিকা সংগ্রহ করছে। সুরক্ষা নিয়ে সংশয় এবং উৎপাদনে সমস্যার কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার দিকে তারা সেভাবে নজর দেয়নি। তবে ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর ভরসা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন। কিন্তু চাহিদামতো সরবরাহ মিলছে না।
এদিকে ফাইজার এরই মধ্যে ১ কোটি ডোজ টিকা মেক্সিকোতে রপ্তানি করেছে। এখন পর্যন্ত মেক্সিকোই ফাইজারের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য।
ফাইজার এবং তার জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক বেলজিয়ামে অবস্থিত তাদের ইউরোপীয় উৎপাদন কেন্দ্র থেকে আশপাশের দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করে আসছে।
মেক্সিকোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এই সপ্তাহে ফাইজার থেকে ২০ লাখ ডোজ টিকা পাবে। গত বুধবার বেলজিয়াম থেকে ১০ লাখ টিকা পেয়েছে এবং আরও ১০ লাখ এই সপ্তাহের মধ্যেই পাবে।
ফাইজার বলছে, এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে তারা আড়াই কোটি ডোজ টিকা তৈরির সক্ষমতা অর্জন করবে। যেখানে আগামী জুলাইয়ের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রকে ৩০ কোটি ডোজ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফাইজার।
২০২১ সালে প্রায় আড়াইশ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে বলে আশাবাদী ফাইজার। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটি ডোজেরও বেশি টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে তারা।