যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গত সোমবার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যারিজোনার বাসিন্দা ওই যুবক সম্প্রতি ফেসবুকে প্রকাশিত একাধিক ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ভিডিওগুলোর একটিতে তাঁকে একটি এআর-১৫ মডেলের রাইফেল হাতে ধরে থাকতে দেখা যায় বলে আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম ম্যানুয়েল তামায়ো-তোরেস। আদালতের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তোরেস ট্রাম্প এবং তাঁর পরিবারকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন। অবশ্য আদালতের নথিতে সরাসরি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি, বরং তাঁকে ‘ব্যক্তি-১’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নথিতে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তি-১’ একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এই ব্যক্তি এক বলতে, সাবেক এক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আদালতের নথিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তামায়ো-তোরেস ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, ‘ব্যক্তি-১, তুমি মরতে যাচ্ছ। ব্যক্তি-১ তোমার ছেলে মরতে যাচ্ছে। তোমার পুরো পরিবার মরতে যাচ্ছে। এটিই এখন তোমার জন্য বাস্তবতা। তোমার ভবিষ্যতে শুধুমাত্র এই একটাই বাস্তবতা আছে, ব্যক্তি-১, মারা যাওয়া।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তামায়ো-তোরেস ট্রাম্পকে গুলি করার হুমকি দেন। আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, ওই ভিডিওতে তোরেস সম্ভবত একটি সাদা রঙের এআর-১৫ ধরনের রাইফেল—যার মধ্যে ৩০ রাউন্ডের একটি ম্যাগাজিন ঢোকানো ছিল—ধরে থাকতে দেখা যায়।
তামায়ো-তোরেস ২৩ আগস্ট অ্যারিজোনার গ্লেনডেলের ডেজার্ট ডায়মন্ড এরেনা থেকে আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প একটি সমাবেশে উপস্থিত। সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, তিনি হত্যাচেষ্টাগুলো তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করবেন। এ সময় তিনি ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়ার বাটলারে তাঁর ওপর হত্যাচেষ্টার উল্লেখ করেন।
তামায়ো-তোরেসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি গত বছর অ্যারিজোনার ফিনিক্সে অস্ত্র কেনার চেষ্টা করার সময় ফেডারেল ফরমে একাধিক মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন।