অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে মার্কিন নাগরিকেরাও ভুগতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যে শুল্ক আরোপ-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের এক দিনের মাথায় রোববার এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা মোট পণ্যের প্রায় অর্ধেক ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের আওতায় পড়বে। নিজস্ব উৎপাদন দ্বিগুণের বেশি করা ছাড়া এ সংকট থেকে উত্তরণের সুযোগ নেই।
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘স্বল্প মেয়াদে আমাদের কিছু যন্ত্রণায় পড়তে হতে পারে এবং লোকজন তা অনুধাবন করতে পারছেন। তবে দীর্ঘ মেয়াদে কার্যত বিশ্বের সব দেশের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতারিত হয়েছে।’
মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের পর এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যেও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করা হবে। কারণ, তারা আমাদের অনেক সুযোগ নিয়েছে। আমি কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বলতে পারছি না, তবে এটা শিগগির হবে।’
ট্রাম্পের এই হুমকি এমন এক সময়ে এল, যখন তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক অব্যাহতভাবে ইউরোপীয় রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছেন। গত শনিবার এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইউরোপবাসী মেগা (মেক ইউরোপ গ্রেট অ্যাগেইন) আন্দোলনে যোগ দিন।’ ট্রাম্পের নির্বাচনী স্লোগান ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’-এর অনুকরণে এ কথা লিখেছেন তিনি।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত রোববার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অন্যায়ভাবে বা স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ইউরোপীয় পণ্যে শুল্ক আরোপ করলে তারাও ‘কড়া প্রতিক্রিয়া’ জানাবে। ইইউর এক মুখপাত্র বলেন, ‘যেকোনো বাণিজ্য অংশীদার যদি অন্যায় বা স্বেচ্ছাচারীভাবে ইইউর পণ্যের ওপর শুল্ক বসায়, তাহলে ইইউ কড়া জবাব দেবে।’