অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচনের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র ব্যারন ট্রাম্পকে নিয়ে দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়। একটি ভিডিওতে শিশুকালের ব্যারনকে ভুলভাবে ‘স্যুটকেস’ উচ্চারণ করতে দেখা যায়। এটি তাঁর শৈশবের সরলতাকেই ফুটিয়ে তোলে এবং টিকটকে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।
অন্য ভিডিওটি বর্তমান সময়ের ব্যারনের। ১৭ সেকেন্ডের এই ক্লিপে দেখা যায়, তিনি ইউএফসির প্রতিষ্ঠাতা ডানা হোয়াইটকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। ডানাকে তিনি বলছিলেন, ‘হ্যালো, কেমন আছেন? আপনাকে অবশেষে দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে।’ এই ভিডিওতে ব্যারনের কণ্ঠ প্রথমবার শুনে অনেকে অবাক হয়েছেন।
রহস্যময় এই ট্রাম্পপুত্রের বিষয়ে সোমবার স্লেট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর সম্পর্কে খুব কম মানুষ জানেন। তিনি যখন শিশু ছিলেন, মা মেলানিয়ার প্রভাবে তাঁর স্লোভেনীয় উচ্চারণে কথা বলা ছাড়া আর কোনো পরিচিতি নেই। এমনকি তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক কণ্ঠস্বরও সাধারণ মানুষ সম্প্রতি প্রথমবারের মতো শুনেছে।
২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হন, তখন ব্যারনের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। সে সময় তাঁর বড় ভাইবোনেরা এবং বাবার আশপাশের ব্যক্তিত্বরা অনেক বেশি আলোচিত ছিলেন।
বর্তমানে ব্যারনের বয়স ১৮ বছর। বিজনেস নিয়ে পড়াশোনা করছেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে। তিনি ট্রাম্প টাওয়ারে থাকেন এবং হোয়াইট হাউসে যাওয়ার বদলে নিউইয়র্কেই তাঁর শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
ব্যারনের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একটি ম্যাগাজিন তাঁকে ‘মেয়েলি পুরুষ’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। তবে তাঁর সামাজিক বা রোমান্টিক জীবন প্রায় সম্পূর্ণ অজানা।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যারন ট্রাম্পের একটি বিষয় খুব আলোচিত হয়েছে। এটি হলো তাঁর উচ্চতা। ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার ব্যারন সম্ভবত আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা প্রেসিডেন্ট সন্তানদের মধ্যে একজন। এই উচ্চতা তাঁকে নিয়ে আরও কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
নির্বাচনের শেষ দিকে, ব্যারন ট্রাম্পকে তাঁর বাবার পডকাস্ট কৌশলের ‘স্থপতি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, তিনি জেন জেড প্রজন্মকে টার্গেট করে তাঁর বাবার প্রচারণার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন। তবে এ বিষয়ে প্রকৃতপক্ষে তাঁর কতটা ভূমিকা ছিল, তা স্পষ্ট নয়।
‘স্যুটকেস’ ভিডিওর সাফল্য এবং মানুষজনের কৌতূহল দেখে মনে হচ্ছে, ব্যারন ট্রাম্পকে জেন জেড প্রজন্মের প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখতে অনেকে উৎসাহী। তবে অনেকের আশা, তিনি মিডিয়ার আলো থেকে দূরে থাকবেন। ভবিষ্যৎ আমেরিকার রাজনীতিতে তিনি কি নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন, নাকি তিনি তাঁর বোন টিফানির মতোই কম আলোচিত থাকবেন, তা সময়ই বলে দেবে।
রহস্যময় ব্যারন সম্পর্কে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবং সাধারণ মানুষ যা জানে তা হলো—তিনি লম্বা, কিছুটা মেধাবী এবং সহজ-সরল একজন তরুণ।