তালেবান দাবি করছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তাদের শাসনামলে আফগানিস্তানে পপি ফুলের চাষ এবং আফিমের উৎপাদন শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। গতকাল মঙ্গলবার তালেবানের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এমনটি দাবি করেন সংগঠনটি মুখপাত্র যবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদ বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন আফিমের উৎপাদন ছিল না।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তালেবানের শাসনামলে আফগানিস্তানে পপি ফুলের চাষ বেড়েছিল। ১৯৯৮ সালে আফগানিস্তানে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে পপি ফুলের চাষ হতো। ২০০০ সালে এই জমির পরিমাণ বেড়ে ৬৪ হাজার হেক্টরে গিয়ে দাঁড়ায়।
মার্কিন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আফিম এবং পপি ফুল পাচার ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তালেবানদের আয় হতো।
যদিও ২০০০ সালের জুলাইতে তালেবান নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পপি ফুলের চাষ নিষিদ্ধ করেছিল তালেবান।
তালেবানের মুখপাত্র যবিহুল্লাহ মুজাহিদ ২০০১ সালের মে মাসে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের অঞ্চলে পপি চাষ বন্ধে সফল হয়েছিল তালেবান। তবে সেই সফলতা বেশি দিন টেকেনি। সম্প্রতি সময়ে তালেবান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলেই বেশি পপি ফুলের চাষ হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আফিম উৎপাদন করে আফগানিস্তান। এই আফিম থেকে তৈরি হয় হেরোইন।