হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। এর পরপরই নতুন একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রস্তাবে রমজান মাস ও ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার উৎসব পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বহালের কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েল সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিলেও গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর প্রস্তাব হামাস এখনো গ্রহণ করেনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জিম্মি বিনিময় চুক্তির প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ায় এবং হামাস উইটকফের প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকার করায় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, গাজায় সব পণ্য ও সরবরাহের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। ইসরায়েল আমাদের জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া কোনো যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করবে না। যদি হামাস তাদের অস্বীকৃতি চালিয়ে যায়, তবে আরও পরিণতি হবে।’

নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপকে ‘নোংরা হুমকি’ এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন হামাসের এক মুখপাত্র। তিনি মধ্যস্থতাকারীদের ইসরায়েলকে সহায়তা সরবরাহ পুনরায় চালু করতে রাজি করাতে আহ্বান জানান।

গত শুক্রবার রাতে হামাস জানিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত তারা প্রথম পর্যায়ের কোনো বর্ধিতকরণে সম্মত হবে না যে দ্বিতীয় পর্যায়ও কার্যকর হবে।

হামাসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘গাজায় সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করার নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত আবারও ইসরায়েলি দখলদারিত্বের কুৎসিত চেহারা প্রকাশ করেছে। আমাদের জনগণকে অনাহারে রাখা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েলি সরকারকে চাপ দিতে হবে।’

ফিলিস্তিন চায়, পূর্বের আলোচনার মতোই দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি বাস্তবায়িত হোক, যাতে জিম্মি মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার চুক্তি অনুযায়ীই হয়।

গতকাল রাতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে, যাতে মুসলিম রমজান ও ইহুদি পাসওভার সময়কাল জুড়ে প্রায় ছয় সপ্তাহ যুদ্ধবিরতি চলতে পারে। যদি এই সময়ের শেষে আলোচনা ব্যর্থ হয়, তবে ইসরায়েল আবার যুদ্ধ শুরু করার অধিকার সংরক্ষণ করবে।

ইসরায়েলের মতে, এটি শুরু হবে জীবিত ও মৃত সব জিম্মির অর্ধেক মুক্তির মাধ্যমে। হামাস যদি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে, তবে ইসরায়েল সঙ্গে সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শনিবার শেষ হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে হামাস ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যেকার ১৫ মাসের যুদ্ধ বন্ধ হয়েছিল। যার মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দী ও আটক ব্যক্তির বিনিময়ে ৩৩ ইসরায়েলি এবং পাঁচ থাই জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় অবশিষ্ট জীবিত সব জিম্মির মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা নিয়ে কোনো আলোচনা এখনো শুরুই হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে ২৪ জন জিম্মি জীবিত রয়েছেন এবং ৩৯ জনের মরদেহ হামাসের কাছে রয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এর জবাবে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় ৪৮ হাজার ৩৬৫ জন নিহত হয়েছে বলে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

ধনী খদ্দেরদের জন্য কিশোরীদের যেভাবে বাছাই করতেন এপস্টেইন—উঠে এল এফবিআইয়ের তদন্তে

বিল ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের ছবিসহ ১৬ এপস্টেইন নথি গায়েব

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা

জনপ্রিয়তায় ধস: জাতির উদ্দেশে ভাষণে নিজের গুণগান আর সেনাদের খুশি রাখার কৌশলে ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার তেল আমাদের সম্পদ, বললেন ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী

মাস্ক ‘মাদকসেবী’, ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ

ফিলিস্তিনসহ আরও যে ৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিল বিবিসি