হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

গাজায় হামলা মাত্রা ছাড়িয়েছে, ইসরায়েলকে এবার বাইডেনের কড়া ধমক 

হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে, তার জবাবে দেশটি গাজায় যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা মাত্রা ছাড়িয়েছে। এভাবেই ইসরায়েলকে কড়া ধমক দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও বলেছিলেন, গাজাবাসীকে অমানবিক অবস্থায় ঠেলে দেওয়ার লাইসেন্স ইসরায়েলের নেই। 

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা বলেন। গাজায় চলমান যুদ্ধের চার মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম ইসরায়েলের প্রতি কঠোর ভাষায় কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

বাইডেন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আপনি জানেন—গাজায়, গাজা উপত্যকায় (হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার বিপরীতে ইসরায়েলি) প্রতিক্রিয়া মাত্রা ছাড়িয়েছে।’ এ সময় তিনি যোগ করেন, তিনি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পেতে ইসরায়েলকে কঠোরভাবে চাপ দিচ্ছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতেও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও বলেন, ‘আমি জিম্মিদের মুক্ত ও যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এখন কঠোরভাবে চাপ দিচ্ছি। অনেক নিরপরাধ মানুষ আছে, যারা ক্ষুধার্ত, অনেক নিরপরাধ মানুষ যারা কষ্টে আছে এবং মারা যাচ্ছে—এটি বন্ধ করতে হবে।’ 

এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বুধবার তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৭ অক্টোবর হামাস যা করেছে, সেটাকে ‘অন্যদের অমানবিক পরিস্থিতিতে’ ঠেলে দেওয়ার লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ ইসরায়েলের নেই। 

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলিদের সঙ্গে সবচেয়ে ভয়ংকর উপায়ে অমানবিক আচরণ করা হয়েছিল। সেদিনের পর থেকে (হামাসের হাতে বন্দী) জিম্মিরা প্রতিদিন অমানবিক আচরণের শিকার হয়েছে। তবে এটি কখনোই অন্যদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করার লাইসেন্স হতে পারে না।’ 

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্যকে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কড়া ধমক বলেই উল্লেখ করেছে। ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের মধ্যে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় বেসামরিক হতাহত ও যুদ্ধের সময় সেখানকার মানবেতর পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি হোয়াইট হাউসের অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ। বুধবার ব্লিঙ্কেনের দেওয়া বক্তব্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর। 

ব্লিঙ্কেন গতকালের সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেছেন, ‘গত ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে গাজার সিংহভাগ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। গাজার অনেক পরিবারের বেঁচে থাকা নির্ভর করে ইসরায়েলি সহায়তার ওপর। তারাও তো আমাদেরই পরিবারের মতো। তারাও আমাদের মা, বাবা, ছেলে ও মেয়ের মতো। যারা ভালো জীবিকা অর্জন করতে চায়, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চায় এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায়। তাদের প্রকৃত পরিচয়ই এটা।’

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

ধনী খদ্দেরদের জন্য কিশোরীদের যেভাবে বাছাই করতেন এপস্টেইন—উঠে এল এফবিআইয়ের তদন্তে

বিল ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের ছবিসহ ১৬ এপস্টেইন নথি গায়েব

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা

জনপ্রিয়তায় ধস: জাতির উদ্দেশে ভাষণে নিজের গুণগান আর সেনাদের খুশি রাখার কৌশলে ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার তেল আমাদের সম্পদ, বললেন ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী

মাস্ক ‘মাদকসেবী’, ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ

ফিলিস্তিনসহ আরও যে ৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিল বিবিসি