অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলের একটি সাইটে ৮ বছর পর ট্রাইডেন্ট-২ পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাজ্য। ৮ বছর আগের মতো এবারও সফল হয়নি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের এই পরীক্ষাটি।
এ বিষয়ে আজ বুধবার সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরমাণু চালিত ব্রিটিশ সাবমেরিন এইচএমএস ভ্যানগার্ডের বোর্ডে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় একটি ত্রুটি ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আজ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, এর আগে ২০১৬ সালের জুনে ফ্লোরিডা উপকূলেই যুক্তরাজ্যের ট্রাইডেন্ট পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি পরীক্ষা ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছিল। আর সর্বশেষ ব্যর্থতার ঘটনাটি গত ৩০ জানুয়ারি ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে দ্য সান পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে।
একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, সান প্রতিবেদনটি নির্ভুল ছিল। এ ক্ষেত্রে ট্রাইডেন্ট-২ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি ডামি ওয়ারহেডকে বাতাসের সাহায্য চালিত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পর্যায়ের বুস্টারগুলো জ্বলতে ব্যর্থ হয় এবং পরবর্তীতে এটি সমুদ্রে ডুবে যায়। তবে দাবি করা হচ্ছে, ডামির বদলে সত্যিকারের ওয়ারহেড ব্যবহার করলে পরীক্ষাটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, পরীক্ষা চালানোর সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এইচএমএস ভ্যানগার্ড নামের সাবমেরিনটিতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের ফার্স্ট সি লর্ড অ্যাডমিরাল স্যার বেন কি-ও বোর্ডে ছিলেন।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল নেভির তথ্য অনুসারে, দেশটির চারটি পারমাণবিক শক্তি চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন রয়েছে। প্রতিটি সাবমেরিনই আমেরিকার নির্মিত ট্রাইডেন্ট-২ ডি-৫ মিসাইল দিয়ে সজ্জিত। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দিয়ে চার হাজার মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়।
আশা করা হচ্ছে, বর্তমান ভ্যানগার্ড শ্রেণির সাবমেরিনগুলো ২০৩০-এর দশকের প্রথম দিকে চারটি নতুন ড্রেডনট শ্রেণির সাবমেরিন দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে।