অনলাইন ডেস্ক
আপনি কী একজন মার্কিন নাগরিক ও মিম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে চান? উত্তর যদি হয় হ্যাঁ—তাহলে আপনাকেই খুঁজছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর সহযোগীরা। আর এই কাজের জন্য আপনাকে কষ্ট করে ওয়াশিংটনে যেতে হবে না। বাইডেনের নিজ অঙ্গরাজ্য ডেলাওয়ারে বসেই এ কাজ করতে পারবেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জো বাইডেনের নির্বাচন প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা একজন মিম ম্যানেজার খুঁজছেন। এমনকি তাঁরা এর জন্য বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন মিম পেজ ও কনটেন্ট পেজের জন্য একজন পার্টনার ম্যানেজার প্রয়োজন। কাজের বিবরণ হিসেবে বলা হয়েছে, মিম ম্যানেজারের কাজ হবে পডকাস্টার, ডিজিটাল মিডিয়া কোম্পানি এবং বড় বড় মিম পেজের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা এবং তা বজায় রাখা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইন দুনিয়ায় মিম পেজগুলো অবিশ্বাস্য রকমের জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের সাইটগুলোতে প্রতিদিন লাখ লাখ ভিউ হয় মিম পেজগুলোতে। ২০২০ সালে প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ব্লুমবার্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর নির্বাচনী প্রচার কৌশল হিসেবে মিম পেজের আশ্রয় নিয়েছিলেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর পক্ষে উকালতি করা পেজটির নাম ছিল ফাকজেরি। যার প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ ফলোয়ার ছিল।
ইন্টারনেট দুনিয়ার জনপ্রিয় পেজগুলোর পরিচালক মূলত জেনারেশন-জেডের ছেলেমেয়েরা এবং তারাই এসব পেজের মিমের সবচেয়ে বড় ভিউয়ার। বাইডেন তরুণ মার্কিন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও খুব একটা সফল হতে পারছেন না। এ কারণেই তিনি মিম পেজের আশ্রয় নেওয়া বাইডেনের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক তরুণ ভোটার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাইডেন কী করবেন, সে বিষয়ে তাঁদের ধারণা স্পষ্ট নয়। আবার অনেকে গাজা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে অসন্তুষ্ট।
মজার বিষয় হলো, বাইডেনের প্রচারণার সঙ্গে যুক্তরা মিম ম্যানেজারের জন্য বার্ষিক ৮৫ হাজার ডলার বেতনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই ম্যানেজারের কাজের একটি অংশ হবে—তরুণদের সঙ্গে সংযোগ ঘটায় এমন সুযোগগুলো চিহ্নিত করা এবং সর্বাধিক ফলোয়ার আছে এমন পেজ খুঁজে বের করে তাঁদের কাজে লাগানো।
চাকরির যোগ্যতার মধ্যে আরও বলা হয়েছে, প্রার্থীর অবশ্যই ভিডিও, গণমাধ্যম অথবা বিনোদনজগতে ন্যূনতম কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের ডিজিটাল মিডিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এ ছাড়া বাধ্যতামূলকভাবে তাঁকে উইমিংটনে কাজ করার মানসিকতা রাখতে হবে।