যুক্তরাষ্ট্রে ৬০টিরও বেশি টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বংসী এই টর্নেডোর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর। বিদ্যুদ্বিচ্ছিন্ন লাখো বাসিন্দা।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু অংশে দফায় দফায় আঘাত হানছে টর্নেডো। টর্নেডোর পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল মার্কিন আবহাওয়া বিভাগ।
টর্নেডোয় লন্ডভন্ড হওয়া অঙ্গরাজ্যগুলো হচ্ছে আরকানসাস, ইলিনয়, আইওয়া, উইসকনসিন, মিসিসিপি ও টেনেসি। বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আরকানসাসে। শক্তিশালী ঝড়ে যানবাহন উল্টে গেছে, গাছ উপড়ে পড়া এবং বিদ্যুতের লাইন ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে সেখানকার বাসিন্দারা। রাজ্যের লিটল রক এলাকায় ভয়াবহতা চোখে পড়ার মতো।
ওয়াইন শহরে অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্কুলঘর ভেঙে গেছে। রাস্তার ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। ওয়াইনের মেয়র জেনিফার হবস বলেছেন, ‘পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত এই শহরের প্রায় অর্ধেক অংশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
খারাপ আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৪ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুদ্বিহীন হয়ে পড়েছেন। ১০ লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুদ্বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরও কয়েক দিন প্রবল বজ্রঝড় ও ভারী বাতাসসহ বৈরী আবহাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।