Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পকে বাড়তি ৫০ হাজার ভোট এনে দিতে পারে মাস্কের লটারি

অনলাইন ডেস্ক

পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পকে বাড়তি ৫০ হাজার ভোট এনে দিতে পারে মাস্কের লটারি
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় ইলন মাস্ক। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করছেন পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রচুর অর্থও ঢালছেন। এই কাজ করতে গিয়ে সম্প্রতি তিনি চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সাতটি অঙ্গরাজ্যের (সুইং স্টেট) নিবন্ধিত ভোটারদের জন্য ১০ লাখ ডলারের একটি লটারি ঘোষণা করেছেন। ৫ নভেম্বর নির্বাচনের আগপর্যন্ত ভোটারদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে প্রতিদিন একজনকে ১০ লাখ মার্কিন ডলার প্রদান করা হবে।

নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লটারিতে অংশগ্রহণের নিয়মকানুন ব্যাখ্যা করেছেন মাস্ক। এ ক্ষেত্রে রিপাবলিকান প্রস্তাবিত ‘বাক্‌স্বাধীনতা ও অস্ত্র বহনের সমর্থনে’ একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করতে হবে অংশগ্রহণকারীদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে সাতটি সুইং স্টেটের। ফলে মাস্কের লটারি ওভাল অফিসের নেতা নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অঙ্গরাজ্যগুলোতে সমর্থকদের পাল্লা আকস্মিকভাবে যেকোনো দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা অনেক বেশি। ফলে এখানে প্রচারণার ওপরই অনেকটা নির্ভর করবে হ্যারিস বা ট্রাম্পের ভোট ভাগ্য।

এদিকে সাতটি সুইং স্টেটের মধ্যে একটি হচ্ছে পেনসিলভানিয়া। ২০টি ইলেক্টোরাল ভোটের এই অঙ্গরাজ্যটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইলন মাস্কের লটারি এই রাজ্যটির ফলাফলকে ট্রাম্পের অনুকূলে এনে দিতে পারে বলে মত দিয়েছেন প্রবীণ ডেমোক্রেটিক নীতিনির্ধারক ডেভিড অ্যাক্সেলরড। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘পেনসিলভানিয়ার মাটিতে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন, ইলন মাস্কের লটারি রাজ্যটিতে ৫০ হাজার ভোটের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’

ইলন মাস্কের লটারিতে অংশ নিতে যাঁরা পিটিশনে স্বাক্ষর করবেন, তাঁদের প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানাসহ ব্যক্তিগত নানা তথ্য সরবরাহ করতে হবে। মাস্কের এই পরিকল্পনাকে ‘খুব স্মার্ট’ আখ্যা দিয়েছেন অ্যাক্সেলরড।

সিএনএনের জেক ট্যাপারের সঙ্গে ওই সাক্ষাৎকারে অ্যাক্সেলরড জানান, মাস্কের পদ্ধতি লোকদের শনাক্ত করছে এবং তাঁরা ভোট দিয়েছেন কি না তা পরীক্ষা করে দেখছে।

গুরুত্বপূর্ণ পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের চেয়ে ৮০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয় পেয়েছিলেন জো বাইডেন। যদিও ২০১৬ সালে এই রাজ্যটি ৬৮ হাজার ভোট বেশি পেয়ে ট্রাম্প জয় পেয়েছিলেন। ফলে অ্যাক্সেলরডের অনুমান সত্যি হলে এবার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই রাজ্যটি ট্রাম্পের ঝুলিতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

শিশুদের গায়ে হাত তোলা যাবে না ইংল্যান্ডে, পার্লামেন্টে বিল

অজানা অনেক কথায় ২০ বছর পর নীরবতা ভাঙলেন মাইকেল কন্যা প্যারিস

বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করা নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ, ডেমোক্র্যাট শিবিরে উল্লাস

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘যেকোনো যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত চীন

ইউক্রেনকে আর কোনো গোয়েন্দা তথ্য দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নাগরিকত্ব বিক্রি করছে ছোট্ট এক দ্বীপদেশ

ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে কানাডার অভিযোগ

বিশ্বের অর্ধেক কার্বন ডাই-অক্সাইডের জন্য দায়ী মাত্র ৩৬টি জ্বালানি কোম্পানি

তোমাদের ধনী বানিয়ে দেব—ট্রাম্পের প্রলোভনের কী জবাব দিল গ্রিনল্যান্ড

শান্তি আলোচনায় বসতে ইউক্রেন রাজি, জেলেনস্কির চিঠি পেয়েছেন ট্রাম্প