যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর নজরদারির জন্য গুপ্তচর বেলুন ব্যবহার করেছিল চীন। বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা থেকে তথ্য সংগ্রহও করতে পেরেছিল বেলুনটি। সোমবার (৩ এপ্রিল) দুজন বর্তমান ও একজন সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি।
কর্মকর্তারা জানান, চীন বেলুনটিকে নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সামরিক সাইটের ওপর দিয়ে পরিচালনা করে। সংগ্রহ করা তথ্য সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে বেইজিংয়ে পাঠাতে সক্ষম হয় এই বেলুন। বাইডেন প্রশাসন বেলুনের তথ্য পাঠানোর জন্য বৈদ্যুতিক সংকেত অকার্যকর না করলে এটি আরও তথ্য সংগ্রহ করে পাঠাত বলে জানান কর্মকর্তারা।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনো এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্র জানান, এফবিআই এখনো গুপ্তচর বেলুনের ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র সাবরিনা সিং বলেন, ‘আমরা জানি বেলুনটি একটি উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালনা করা হয়েছে। আর চীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলুনটি আমেরিকার আকাশসীমার নির্দিষ্ট স্থানে উড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনো বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করছি এবং জানার চেষ্টা করছি কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছে চীন। তবে যে তথ্য পেয়েছে, তা নতুন কিছু নয়। আগেই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তা সংগ্রহ করেছে বেইজিং।’
উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় আটলান্টিক মহাসাগরে একটি চীনা নজরদারি বেলুন গুলি করে ধ্বংস করে মার্কিন যুদ্ধবিমান। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, চীন ওই বেলুন পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সাইটগুলোতে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল। এর পর ১০ ফেব্রুয়ারি দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আলাস্কার আকাশে প্রায় ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে একটি ‘সন্দেহজনক বস্তু’ উড়তে দেখা গিয়েছিল। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে বস্তুটিকে যুদ্ধবিমানের সহায়তায় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
তবে বেলুনের সহায়তায় নজরদারির বিষয় অস্বীকার করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন জানায়, বেলুনটি বেসামরিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল এবং এটি ভুল পথে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে প্রবেশ করে। এটি নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়।