ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং অংশ না নেওয়ার পরিকল্পনা করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভবিষ্যতে তাঁর দেখা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। আর এই খবরেই নিরাশ জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি হতাশ। তবে তাঁর (সি চিন পিং) সঙ্গে আমার দেখা হবে।’
তবে এ সাক্ষাৎ কবে কোথায় হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই উল্লেখ করেননি বাইডেন।
এর আগে জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লি যাবেন বলে সি চিন পিং জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সির দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, সি চিন পিং এই বছর জি-২০ সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তাঁর জায়গায় চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং বেইজিংয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
আসছে নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের বৈঠকে সি জিন পিং এবং জো বাইডেনের সাক্ষাতের সুযোগ আছে। গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলনে সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয় এই দুই বিশ্বনেতার। এর মাস দুয়েক পরেই যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের স্পাই বেলুনের অনুপ্রবেশের ঘটনায় অনেকটা স্তিমিত হয়ে যায় দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের সম্ভাবনা। জিনজিয়াং এবং হংকংয়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি, তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগরের আঞ্চলিক দাবি, শিল্প ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যসহ বেশ কিছু ইস্যুতেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে এরপর চীন সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এবং জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। অন্যদিকে বেইজিংকে উন্নয়নশীল বিশ্বের নেতা হিসেবে চিত্রিত করা অব্যাহত রাখেন সি চিন পিং। সে সঙ্গে ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে বিশ্বব্যবস্থার বিকল্প গড়ার পক্ষে সমর্থন আদায়ে জোর দিচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
