হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

বাইডেনের সাক্ষাৎকার মন গলাতে পারল না ডেমোক্র্যাটদের

অনলাইন ডেস্ক

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে বিতর্কে বাজে পারফরম্যান্সের পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিভিশনে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাতে দলীয় নেতা–কর্মীদের মন গলেনি বলেই মনে হচ্ছে। 

গত শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতের ওই সাক্ষাৎকার তাঁর বিতর্কে তার বিব্রতকর পারফরম্যান্স আড়াল করতে পারেনি। বরং তাঁকে ঘিরে সমর্থক, ডেমোক্রেট নেতা ও অর্থদাতাদের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন দলের একাধিক নেতা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

এবারের নির্বাচন নিয়ে প্রচারণার শুরু থেকেই দলের ভেতরে-বাইরে বাইডেনের বয়স নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা চলছে। কিন্তু গত সপ্তাহে প্রথাগত এই বিতর্কের প্রথম রাউন্ডের পারফরম্যান্সের জন্য ৮১ বছর বয়সী বাইডেনকে নিয়ে নতুন করে সমালোচনার ঝড় বইছে। সময় যত গড়াচ্ছে, উদ্বেগ তত বাড়ছে। 

দল ও সমর্থকদের মধ্যে নিজের বয়স ও প্রথম বিতর্কের পারফরম্যান্স নিয়ে উদ্বেগ দূর করার জন্য শুক্রবার রাতে বাইডেন এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ২২ মিনিটের এই সাক্ষাৎকারে বেশির ভাগ সময় বাইডেনের বয়স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাঁর বয়স দেশ পরিচালনায় কোনো বাধা তৈরি করবে না বলে বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন। 

বিরল এই সাক্ষাৎকারে বাইডেন তাঁর বিতর্কের পারফরম্যান্সকে কেবল ‘একটি বাজে ঘটনা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেবল ‘সর্বশক্তিমান ঈশ্বর’ ছাড়া নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত থেকে তাঁকে কেউ সরাতে পারবে না। 

সাক্ষাৎকার গ্রহীতা স্টেফানোপোলোস মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, তাঁর মিত্ররা তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলতে পারেন। বাইডেন তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘না, এটা ঘটবে না।’ 

আরও এক মেয়াদে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি সক্ষম কি না, তা জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি না, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য আমার চেয়ে বেশি যোগ্য আর কেউ আছে।’ 

কিন্তু তাতে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্বেগ মোটেও কমেনি। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্য মিনেসোটার অ্যাঞ্জি ক্রেগ গতকাল শনিবার বাইডেনকে প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত দলের কোনো জ্যেষ্ঠ নেতা তাঁকে পদত্যাগের আহ্বান জানাননি।
 
একাধিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। কিছু জরিপে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর পাশাপাশি সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমার অভাসও মিলেছে। প্রতিনিধি পরিষদে আসন হারানোর বিষয়েও উদ্বেগ ফুটে উঠেছে। 

অ্যাঞ্জি ক্রেগ গতকাল বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন নির্বাচনে জিততে পারবে তা আমি মনে করি না।’ 

কয়েক দশক ধরে বাইডেন যে কাজ করে গেছেন, সেসবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিরে আসার সম্ভাবনার মুখে বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। 

এর আগে প্রথম ডেমোক্র্যাট সদস্য হিসেবে বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন টেক্সাসের কংগ্রেস সদস্য লয়েড ডগেট। বাইডেনের সাক্ষাৎকারের পর সিএনএনকে তিনি বলেন, আগের চেয়ে এখন (আজ রাতে) বাইডেনের সরে যাওয়াটা ‘আরও জরুরি বলে মনে হচ্ছে’। 

তিনি আরও বলেন, নিজের সরে যাওয়ার বিষয়ে বাইডেন যত দেরিতে সিদ্ধান্ত নেবেন, নতুন প্রার্থীর জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করা তত বেশি কঠিন হবে। 

ইলিনয়ের কংগ্রেসম্যান মাইক কুইগলি, ম্যাসাচুসেটসের শেঠ মৌলটনসহ অন্য ডেমোক্র্যাটরাও শুক্রবার বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

দায়িত্ব গ্রহণের পর চীন ও ভারত সফর করবেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের নামে মিম কয়েন, এক লাফে দাম উঠল ৩২ ডলার

অভিষেকের আগে আবারও বিক্ষোভের মুখে ট্রাম্প

‘ডিপ স্টেট’ ভেঙে মার্কিন প্রশাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে পরিকল্পনা সাজালেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধ ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান শিগগির

শপথের দিনেই যেসব নির্বাহী আদেশ দিতে পারেন ট্রাম্প

ব্লিঙ্কেনের সংবাদ সম্মেলন থেকে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে টেনে হিঁচড়ে বের করে দিল

তীব্র ঠান্ডায় ট্রাম্পের অভিষেক ঘরে, ফিরে এল ৪০ বছর পুরোনো ঘটনা

যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলে প্রাণহানি বেড়ে ২৭

সেকশন