হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

ট্রাম্পের পক্ষে পিটিশনে সই করলেই ১০ লাখ ডলার জেতার সুযোগ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে একটি পিটিশনে সই করলেই ১০ লাখ ডলার জেতার সুযোগ! এমনটিই ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। 

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে দোদুল্যমান রাজ্য পেনসিলভিনিয়ায় ট্রাম্প শিবিরের জন্য মাস্কের রাজনৈতিক কার্যক্রম কমিটি ‘আমেরিকা প্যাকের’ সংবিধানপন্থি একটি পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের লটারির মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হবে। আগামী ৫ নভেম্বর নির্বাচনের দিন পর্যন্ত রাজ্যটিতে প্রতিদিন একজন ভোটার এই টাকা পাবেন। 

এরই মধ্যে ইলন মাস্ক গতকাল শনিবার রাতে পেনসিলভেইনিয়ার এক টাউন হলে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার অনুষ্ঠানে প্রথম বিজয়ীর হাতে লটারি-ধাঁচের চেক তুলে দিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। 

পিটিশনটিতে বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের প্রথম এবং দ্বিতীয় সংশোধনীতে বাক স্বাধীনতা এবং অস্ত্র বহনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। নিচে সই করে আমি প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীতে আমার সমর্থন নিশ্চিত করছি।’ 

তবে মাস্কের এই উদ্যোগের আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশিষ্ট নির্বাচনী আইন বিশেষজ্ঞ রিক হ্যাসেন ব্যক্তিগত নির্বাচনী আইন ব্লগে লিখেছেন, মাস্কের প্রস্তাব ‘স্পষ্টভাবে অবৈধ’। মার্কিন ফেডারেল আইনে বলা হয়েছে, কেউ ভোটদান বা ভোটের নিবন্ধনের জন্য অর্থ দিলে বা দেওয়ার প্রস্তাব করলে তাঁর ১০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা বা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হবে।

ইলন মাস্ক পেনসিলভানিয়ার ভোটারদের পিটিশনে স্বাক্ষর দিতে কৌশলি পদক্ষেপ নিলেও হাসেন এ কৌশলের পেছনের অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির আইন স্কুলের অধ্যাপক হাসেন অভিযোগ করেন, পিটিশনে কে স্বাক্ষর করতে পারে? শুধুমাত্র সুইং স্টেটের নিবন্ধিত ভোটাররা, যা এটিকে অবৈধ করে তোলে।

এদিকে এই পিটিশনে কেবল রিপাবলিকানরাই সই করতে পারবে তা নয়, পেনসিলভেইনিয়ার যেকোনো নিবন্ধিত ডেমোক্র্যাট ভোটারও সই করতে পারবেন। 

আজ রোববার পেনসিলভানিয়ার গভর্নর ও কমলা হ্যারিসের সমর্থক জোশ শাপিরো ইলন মাস্কের এই কৌশলকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে জানিয়েছেন।

শাপিরো এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’কে বলেছেন, নির্বাচনের আগে এসব টাকা ছিটানোর বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তদারকি করা উচিত।

বিবিসি জানায়, এই উদ্যোগের ফলে ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা আছে এমন ভোটাররা নির্বাচনের শেষ দিনগুলোতে প্রচারে সামিল হতে উৎসাহিত হবে। 

যারা পিটিশনে সই করবেন—অর্থাৎ, বাকস্বাধীনতা এবং বন্দুকের অধিকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেবেন—তাঁদের নিজেদের যোগাযোগ নম্বর দিতে হবে ‘আমেরিকা প্যাক’কে যাতে ভোটের বিষয়টি নিয়ে এই কমিটি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। 

সম্প্রতি কয়েকবছরে ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক হয়ে ওঠা ইলন মাস্ক গত জুলাইয়ে ‘আমেরিকা প্যাক’ কার্যক্রম শুরু করেন। ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারকে সমর্থন দিতেই এই কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। 

এ পর্যন্ত তিনি আমেরিকা প্যাক কার্যক্রমে সাড়ে ৭ কোটি ডলার দান করেছেন। ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে মাস্কের এই কমিটি কেন্দ্রীয় ভূমিকায় উঠে এসেছে। 

ভোটারদের দলে টানতে আমেরিকা প্যাক এর মতো বাইরের গ্রুপগুলোর ওপর ট্রাম্পশিবির অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

ধনী খদ্দেরদের জন্য কিশোরীদের যেভাবে বাছাই করতেন এপস্টেইন—উঠে এল এফবিআইয়ের তদন্তে

বিল ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের ছবিসহ ১৬ এপস্টেইন নথি গায়েব

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা

জনপ্রিয়তায় ধস: জাতির উদ্দেশে ভাষণে নিজের গুণগান আর সেনাদের খুশি রাখার কৌশলে ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার তেল আমাদের সম্পদ, বললেন ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী

মাস্ক ‘মাদকসেবী’, ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ

ফিলিস্তিনসহ আরও যে ৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিল বিবিসি