যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে ইউনিভার্সিটি অব নেভাদার ক্যাম্পাসে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী নিজেও মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এমএসএনবিসি নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
লাস ভেগাস পুলিশ বিভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ছাড়াও আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া আরও একজনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশ এখনো বন্দুকধারী ও নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। এমনকি কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে বিষয়েও কোনো কিনারা করতে পারেনি।
ইউনিভার্সিটি অব লাস ভেগাসের অধ্যাপক ভিনসেন্ট পেরেজ জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ শুনেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, পরপর সাত-আটটি গুলির শব্দ শুনতে পাই জোরে, খুবই জোরে। গুলির আওয়াজ শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দৌড়ে ভেতরে চলে যাই। দ্রুতই বুঝতে পারি যে ক্যাম্পাসে একজন সক্রিয় বন্দুকধারী আছে।’
ইউনিভার্সিটি অব লাস ভেগাসের নিজস্ব পুলিশ বিভাগের অ্যাডাম গার্সিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একজন সক্রিয় বন্দুকধারী বিষয়ে খবর পাওয়ার পর আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানান এবং সন্দেহভাজনকে পাকড়াও করেন।’ তিনি জানান, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী মারা গেছেন। তবে কীভাবে মারা গেছেন, তা পুলিশ জানায়নি।
লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের শেরিফ কেভিন ম্যাকমাহিল বলেছেন, আর কোনো হুমকি নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শাখা সতর্কতার কারণে কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।