অনলাইন ডেস্ক
৯ বছর বয়সী ব্র্যানসনকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মা-বাবার জীবন বাঁচাতে সাহসী এই ছেলের কাণ্ড এখন ভাইরাল হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যে সম্প্রতি আঘাত হেনেছিল শক্তিশালী একটি ঘূর্ণিঝড়। সেই ঝড়েরই কবলে পড়েছিলেন ব্র্যানসন এবং তার বাবা-মা। তাঁরা একটি গাড়ির ভেতরে ছিলেন।
ঘূর্ণিঝড়ের তোড়ে রাস্তার এক পাশে ছিটকে পড়েছিল গাড়িটি। এর ওপর আছড়ে পড়েছিল একটি বড় গাছও। কোনোক্রমে ব্র্যানসন বেরিয়ে আসতে পারলেও দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়িটির ভেতরে মারাত্মক আহত অবস্থায় আটকা পড়েছিলেন তার বাবা-মা। এ অবস্থায় বাবা-মাকে বাঁচানোর জন্য সাহায্যের আশায় ঝড়ের মধ্যেই দৌড়াতে শুরু করে ব্র্যানসন। সাহায্য পাওয়ার আগপর্যন্ত অন্তত এক মাইল পথ পাড়ি দিয়েছিল সে। পরে উদ্ধারকারীদের নিয়ে সে ঘটনাস্থলে হাজির হয়।
এ বিষয়ে পরে ব্র্যানসনের বাবা ওয়েন জানান, আরও খারাপ কিছু হতে পারত। তবে ছেলের নায়কোচিত কৃতিত্বে তাঁরা সেযাত্রায় বেঁচে গেছেন। বর্তমানে আঘাত থেকে সেরে উঠেছেন ওয়েন। তবে তাঁর স্ত্রী লিন্ডি এখনো হাসপাতালে আছেন।
গত ২৭ এপ্রিলের সেই ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছিল গুডনিউজ মুভমেন্ট। ৮০ হাজারের বেশি মানুষ এই পোস্ট পছন্দ করেছেন। আর ব্র্যানসনের সাহসিকতার প্রশংসা করে মন্তব্য করেছেন আরও অসংখ্য মানুষ। একজন লিখেছেন, ‘গাড়ি দুর্ঘটনার পর টর্নেডোর মধ্যে এক মাইল দৌড়েছে সে এবং বাবা-মাকে গুরুতর আহত হতে দেখেছে। তার বয়স মাত্র ৯ বছর। কী সাহসী ছেলে!’
সেদিনের সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ছোট্ট ব্র্যানসন বলেছে, ‘আমি সত্যিই ভয় পেয়েছিলাম। সাহায্য নিতে যাওয়ার সময় বাবা-মাকে বলেছিলাম, তোমরা মরে যেয়ো না।’
এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ঘটনার এক দিন পর একটি বাস্কেটবল ম্যাচে অংশগ্রহণের কথা ছিল ব্র্যানসনের। সেই ম্যাচে সে শুধু অংশই নেয়নি, দলের হয়ে পয়েন্টও যোগ করেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৭ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে ওকলাহোমায় অন্তত ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।