দরিদ্র দেশগুলোর জন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পেটেন্ট উন্মুক্ত করে দেওয়ার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এমন সমর্থনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওষুধ প্রস্তুতকারকেরা । তারা বলছেন, বাইডেনের এমন সমর্থন ভ্যাকসিনের সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত তৈরি করতে পারে। পেটেন্ট উন্মুক্ত না করে ধনী দেশগুলোর উচিত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিনামূল্যে আরও টিকা দেওয়া।
এ নিয়ে বৈশ্বিক ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর বাণিজ্য জোট ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফেকচারস এন্ড এসোসিয়েশনের(আইএফপিএমএ) পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এই প্রস্তাবে অনেক উৎপাদনকারী তৈরি হবে যাদের অপরিহার্য জ্ঞানের অভাব রয়েছে। এ নিয়ে আইএফপিএমএ-এর মহাপরিচালক থমাস কুয়েনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলে দুর্বৃত্ত সংস্থাগুলো উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে।
এ নিয়ে জার্মানির ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে বলা হয়, উৎপাদন সীমিত হওয়ার পেছনে পেটেন্ট দায়ি না। এটি উন্মুক্ত করলে বিশ্বে করোনার সরবরাহ বেড়ে যাবে এমন না।
বায়োএনটেক বলছে, তাদের ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যবস্থা তৈরি করতে এক দশক লেগেছে। আর এ জন্য অভিজ্ঞ এবং দক্ষ জনবলেও প্রয়োজন।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন কোম্পানি মডার্নার পক্ষ থেকে বলা হয়, ভ্যাকসিনের মেধাস্বত্ব উন্মুক্ত করলেও তাদের ভ্যাকসিনের সরবরাহ ২০২১ এবং ২০২২ সালের মধ্যে বাড়ানো সম্ভব নয়। এর আগে গত বছর কোম্পানিটি বলেছিল যে তারা ভ্যাকসিনের পেটেন্ট উন্মুক্ত করবে না।
ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে থাকার ইতালির ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেইথেরা-এর পক্ষ থেকে ভ্যাকসিনের মেধাস্বত্ব উন্মুক্ত করা নিয়ে সমালোচনা করা হয়।
ভ্যাকসিনে পেটেন্ট উন্মুক্ত নিয়ে বাইডেনের সিদ্ধান্তে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিরা আপত্তি জানালেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এটিকে স্বাগত জানানো হয়েছে।