সম্প্রতি শেষ হওয়া কানাডার নির্বাচনে একটি ‘গোপন নেটওয়ার্ককে’ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। কানাডার স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম গ্লোবাল নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ ঘটনার পর গত সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো চীনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কানাডার গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে ‘আগ্রাসী খেলা’ খেলছে চীন। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্লোবাল নিউজের প্রতিবেদনে কোনো সূত্রের উল্লেখ না করেই বলা হয়েছে, গোয়েন্দারা কানাডার সরকারকে জানিয়েছে, দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার কিংবা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে চীন। অন্টারিওর একজন আইনপ্রণেতাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কানাডার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্তত ১১ প্রার্থীকে ও চীনা কার্যক্রমে সরাসরি অর্থায়ন করেছে বেইজিং। কানাডার জাতীয় পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলতে দেশটির পার্লামেন্টে গোয়েন্দা নিয়োগ করতে চেয়েছিল চীন।
এদিকে এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমরা আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির অখণ্ডতাকে শক্তিশালী করার জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি এবং নির্বাচনী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদের গণতন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানের বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।’
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, ‘বিদেশে থাকা চীনের নাগরিকদের বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে তাদের নিয়োজিত কর্মীরা।’