বিশ্ব জুড়ে এখনো কমেনি করোনার প্রকোপ। করোনার একের পর এক নতুন ধরনের সংক্রমণ বাড়ছেই। সংক্রমণ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে দেশগুলো। করোনার এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলো নার্স সংকটে ভুগছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বিদেশ থেকে নার্স নেওয়ার কথা ভাবছে।
বার্তা সংস্থা এপি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর নার্সসহ বিদেশি পেশাজীবীদের জন্য দ্বিগুণ গ্রিন কার্ড পাওয়া যাচ্ছে। অন্য বছরগুলোতে যেখানে নার্সসহ বিদেশি পেশাজীবীদের জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার গ্রিন কার্ড এভেইলেবল থাকে, এ বছর সে সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ছিল। ফলে মার্কিন নাগরিকেরা আত্মীয়দের জন্য ভিসা ইস্যু করতে পারেননি। আইন অনুসারে অব্যবহৃত ভিসা স্লটগুলো যোগ্য কর্মীদের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনেকে অবসর নেওয়ায় এবং চাকরি ছেড়ে যাওয়ার কারণে সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতির অস্থিশীলতার কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। সান ফ্রান্সিসকোতে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে, শুধু ক্যালিফোর্নিয়াতেই ৪০ হাজার নার্সের ঘাটতি রয়েছে। কিছু হাসপাতাল ফিলিপাইন, জ্যামাইকা এবং অন্যান্য ইংরেজিভাষী দেশ থেকে নার্স নিয়ে আসছে। অন্য হাসপাতালগুলোও তাদের অনুসরণ করছে।
নেব্রাস্কার ওমাহায় ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করেন অ্যামি এল. এরলবাচার-অ্যান্ডারসন। তিনি বলেন, ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি বিদেশি নার্সের চাহিদা দেখছি। যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি নার্স হিসেবে আসার জন্য যারা আবেদন করেছেন চলতি বছর তাঁদের অধিকাংশই অনুমোদন পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।