অনলাইন ডেস্ক
চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিরোধিতা করেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। গতকাল বৃহস্পতিবার প্যারিসে একটি প্রযুক্তি সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘টেসলা বা আমি কেউই এই শুল্ক চাইনি।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীন থেকে আমদানি করা ইভির ওপর শুল্ক চারগুণ করার কয়েক দিন পর ইলন মাস্ক এ কথা বললেন। তবে গত জানুয়ারিতে দেওয়া মাস্কের বক্তব্যের সঙ্গে চীনা ইভির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর বিরোধিতা করা সাংঘর্ষিক। কারণ তখন মাস্ক সতর্ক করে বলেছিলেন যে, বাণিজ্য বাধা না থাকলে চীনা গাড়ি নির্মাতারা অন্যান্য দেশের প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধ্বংস করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার সুরক্ষিত রাখতে চীনা ইভির ওপর শুল্কের হার প্রায় চার গুণ বেড়ে ১০০ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। চীনকে ‘প্রযুক্তির আদান-প্রদান, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও উদ্ভাবনের’ ক্ষেত্রে বাণিজ্য বৈষম্য দূর করতে বাধ্য করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
সে প্রসঙ্গে মাস্ক বলেন, ‘আসলে, তাদের এই ঘোষণায় আমি অবাক হয়েছিলাম। যেসব জিনিস বিনিময়ের স্বাধীনতাকে বাধা দেয় বা বাজারকে বিকৃত করে, তা ভালো নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো শুল্ক এবং উল্লেখযোগ্য কোনো সমর্থন ছাড়াই টেসলা চীনের বাজারে বেশ ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আমি কোনো শুল্ক না রাখার পক্ষে।’
পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রবর্তিত চীনের ওপর বেশ কয়েকটি শুল্ক বজায় রেখেছেন জো বাইডেন। গত সপ্তাহে বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ব্যাটারি, কম্পিউটার চিপ এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পণ্যের বাজার চীনকে ‘অন্যায়ভাবে নিয়ন্ত্রণ’ করতে দেবেন না তিনি।
চীন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির বিরোধিতা করে জানিয়েছে যে, তারাও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেবে। এ সপ্তাহেও চীন ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা বড় ইঞ্জিনযুক্ত গাড়িগুলোতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারে।
বেইজিংয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গত মঙ্গলবার বলেন, চীন তার বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।