অনলাইন ডেস্ক
আর একদিন পরই দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামীকাল সোমবার শপথ গ্রহণকে ঘিরে ওয়াশিংটনে চলছে নানা প্রস্তুতি। এরই মধ্যে ট্রাম্পের অভিষেকের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, রিপাবলিকান এই নেতার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে নারী অধিকার, জলবায়ু সংকট ও জাতিগত ন্যায়বিচারের মতো সাংবিধানিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কায় ‘পিপলস মার্চ’ নামে এই বিক্ষোভ।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে নামা হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প। এবার দ্বিতীয় মেয়াদেও ২০২৪ সালে নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। গত নভেম্বরে নির্বাচন ও এর আগে নির্বাচনী প্রচারণায় নারী অধিকারের বিষয়ে ট্রাম্পের নীতি নিয়ে অনেকের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হয়। যার প্রতিফলন এই বিক্ষোভে দেখা যাচ্ছে। চলমান এই বিক্ষোভের অংশগ্রহণকারী অধিকাংশই নারী।
রয়টার্স জানায়, মার্কিন কংগ্রেস ভবনের আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভ রাজধানী ছাড়িয়ে অন্য শহরগুলোতেও ছড়িয়ে যেতে পারে। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে আয়োজকেরা। তবে পুলিশ জানায়, সংখ্যাটি ২৫ হাজারের বেশি হবে না।
ট্রাম্পের অভিষেকের প্রতিবাদে আগামীকাল দেশজুড়ে তিন শতাধিক মিছিলের পরিকল্পনা করেছেন নারী অধিকার, নাগরিক অধিকার, পরিবেশ অধিকার ও প্রজনন অধিকার নিয়ে কাজ করা গোষ্ঠীগুলো।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, প্রথম মেয়াদের চেয়ে এই মেয়াদে ‘ট্রাম্পইজমের’ বহিঃপ্রকাশের মাত্রা বেশি হতে পারে। ট্রাম্প এবার বেশ শক্তিশালী। তাঁকে প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে শপথ নেওয়ার সময়ও দেশটিতে বিক্ষোভ হয়েছিল। ২০১৭ সালের ওই বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘উইমেন মার্চ’। ওই বিক্ষোভের মতো এবারও অনেককে গোলাপি পোশাকে দেখা গেছে।
চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই ওয়াশিংটনে পা রেখেছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার স্ত্রী মেলানিয়া এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। আগামীকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টায় মার্কিন কংগ্রেস ভবনের রোটুন্ডায় দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তীব্র ঠান্ডার কারণে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজনস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে।