অস্ট্রেলিয়ার বিলিয়নিয়ার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন সম্পর্কে গোপন তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে সম্প্রতি এ অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বিদায় নেওয়ার তিন মাস পর ২০২১ সালের এপ্রিলে তাঁর ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। ট্রাম্প এখনো এই অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করেননি। আল জাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
বিষয়টির সঙ্গে জড়িত দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ওই ব্যবসায়ীর নাম অ্যান্থনি প্র্যাট। তিনি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্যাকেজিং কোম্পানির প্রধান। এবিসি নিউজ প্রথম এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপন এসব তথ্য ট্রাম্প আলোচনা করার পর প্র্যাট এক ডজনেরও বেশি বিদেশি কর্মকর্তা, নিজ অফিসের কয়েকজন কর্মী এবং কয়েকজন সাংবাদিককে এসব বিষয় জানান।
এবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের এপ্রিলে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্র্যাট। ওই সময় সাবেক প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ট্রেলিয়ার সাবমেরিন কেনা শুরু করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
এর জবাবে ট্রাম্প মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিনের সক্ষমতা সম্পর্কে ওই ব্যবসায়ীকে সঠিক বিবরণ দিয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তাঁদের আলোচনায় ট্রাম্প সাবমেরিনগুলোর কৌশলগত ক্ষমতা সম্পর্কে অন্তত দুটি সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে জাহাজগুলো কতগুলো পারমাণবিক ওয়ারহেড (সাবমেরিন) বহন করে এবং শনাক্ত না করেই তারা তাদের রাশিয়ান প্রতিপক্ষের কতটা কাছে যেতে পারে।
প্রসিকিউটররা গোপন নথির বিচারে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্র্যাটকে ডাকতে পারেন, যা আগামী বছরের মে মাসে ফ্লোরিডায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে আর্থিক জালিয়াতির একটি মামলায় ট্রাম্প তাঁর নিউইয়র্ক ব্যবসার লাইসেন্স হারাবেন এমন কোম্পানিগুলোর একটি তালিকা দেওয়ার জন্য আদালতের কাছ থেকে সাত দিন সময় পেয়েছেন তিনি।