হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

গাজা দারুণ জায়গা, অন্যভাবে পুনর্গঠন করতে হবে: ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক    

ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা দারুণ জায়গা। তবে বর্তমানে এলাকাটি ধ্বংসস্তূপ হলেও এটিকে অন্যভাবে পুনর্গঠন করতে হবে। গতকাল সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে কিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে রোববার শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনো তিনি খুব একটা আত্মবিশ্বাসী নন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের যুদ্ধ নয়, এটি তাদের (হামাস-ইসরায়েলের) যুদ্ধ। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী নই। তবে আমার মনে হয়, ওদের (হামাসের) শক্তি অনেক কমে গেছে।’

গাজা উপত্যকা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা যেন এক বিশাল ধ্বংসস্তূপের জায়গা। এটিকে অন্যভাবে পুনর্গঠন করতে হবে। গাজা দারুণ এক স্থান। সমুদ্রের ধারে, দারুণ আবহাওয়া। সবকিছুই ভালো। এখানে অসাধারণ কিছু করা সম্ভব। এটা খুবই আকর্ষণীয়। চমৎকার কিছু করা যেতে পারে।’

এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম নির্বাহী আদেশে চার বছর আগের ক্যাপিটলে হামলায় জড়িত প্রায় দেড় হাজার সমর্থককে ক্ষমা করে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু চুক্তি বাতিল এবং জাতিগত ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য কর্মসূচি বন্ধের মতো একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে পুলিশ, আইনপ্রণেতা এবং হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষুব্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হামলায় প্রায় ১৪০ জন পুলিশ কর্মকর্তা আক্রান্ত হন। অনেকের ওপর রাসায়নিক স্প্রের মারা হয়, কিছু পুলিশকে লোহার পাইপ ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। ওই ঘটনায় চারজন নিহত হন, যার মধ্যে একজন ট্রাম্প সমর্থককে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। ক্ষমার তালিকায় ওথ কিপার্স এবং প্রাউড বয়েজ নামে চরমপন্থী সংগঠনের নেতারাও আছেন, যারা দীর্ঘ কারাভোগ করছিলেন।

৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসের হল ক্যাপিটল রোটুন্ডায় শপথ নেন, যেখানে চার বছর আগে তার সমর্থকেরা তাণ্ডব চালিয়েছিল। শপথ নেওয়ার সময় তিনি নিজেকে ঈশ্বরের মনোনীত ‘ত্রাণকর্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি নির্বাচনে হেরে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন এবং প্রথম ‘অপরাধী’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।

শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে সীমান্তে সৈন্য মোতায়েনের সুযোগ তৈরি হয়। তিনি এমন এক কর্মসূচিও বন্ধ করেন, যার মাধ্যমে হাজার হাজার অভিবাসী বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পেতেন। এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার নীতি বাতিল করেন ট্রাম্প, যা দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সূচনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেক্সিকোর ড্রাগ কার্টেলগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি।

সরকারী ব্যয় কমাতে জন্য ইলন মাস্কের নেতৃত্বে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। বক্তৃতায় জো বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন ও পররাষ্ট্র নীতির তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘সরকার বিদেশি সীমান্ত রক্ষার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে, কিন্তু নিজ দেশের জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ”

ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস ও মার্ক জাকারবার্গের মতো প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ভাষণে মঙ্গল গ্রহে মহাকাশচারী পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প এবং ‘গালফ অব মেক্সিকো’র নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ রাখার পরিকল্পনা পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মেরুকরণের নতুন অধ্যায় সূচনা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিতর্কিত ইঙ্গিত, কী বোঝাতে চাইলেন মাস্ক

শপথের দিনে ট্রাম্পের মিমকয়েনের দাম বাড়ল এক লাফে ১০ বিলিয়ন ডলার

বিনা চাপে ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে, আশা ট্রাম্পের

জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব আর নয়, ট্রাম্পের আদেশ

ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা জারি, মেক্সিকো সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিলেন ট্রাম্প

দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার ট্রাম্পের

ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশে ক্যাপিটল হামলাকারীদের ক্ষমা

ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন মার্কো রুবিও

ডজনখানেক উচ্চপদস্থ কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ ট্রাম্প টিমের

সেকশন