হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালতের গর্ভপাত বিষয়ক রায়ের নিন্দায় জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতারা

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালত নারীদের গর্ভপাতের অধিকার বাতিল করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে নিন্দা। কারণ এটি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালতের রায়ের নিন্দা করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মার্কিন আদালতের সিদ্ধান্ত একটি বড় ধাক্কা এবং নারীর মানবাধিকার এবং লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে একটি বিশাল আঘাত।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘আদালতের রায়ের কারণে গর্ভপাত বন্ধ হবে না, বরং মানুষ এখন গর্ভপাতের ভিন্ন পদ্ধতি খুঁজবে। এতে গর্ভপাত আরও মারাত্মক হয়ে উঠবে।’ 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের অধিকার হচ্ছে নারীদের ব্যক্তি স্বাধীনতা, পছন্দনীয় জীবন, ক্ষমতায়ন ও সমতার ভিত্তি। এই রায় গর্ভপাত ঠেকাতে পারবে না, বরং গর্ভপাতকে আরও মারাত্মক করে তুলবে।’ 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেসাস বলেছেন, ‘নারীর অধিকার রক্ষার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও বেশি আশা করেছিলাম। আমি খুবই হতাশ, কারণ নারীর অধিকার অবশ্যই রক্ষা করা উচিত। আমি আশা করেছিলাম আমেরিকা এ ধরনের অধিকার রক্ষা করবে।’ 

এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘গর্ভপাত সব নারীর মৌলিক অধিকার। এটি অবশ্যই রক্ষা করা উচিত।’ 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমি মনে করি এ সিদ্ধান্ত আমেরিকাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাবে। আমি যেকোনো নারীর গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত বেছে নেওয়ার অধিকারে বিশ্বাসী। এ জন্যই যুক্তরাজ্যের আইনে সেটি রয়েছে। 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কোনো নারী তাঁর শরীরের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেবেন, কী সিদ্ধান্ত নেবেন না, সে ব্যাপারে কোনো সরকার, কোনো রাজনীতিবিদ বা কোনো পুরুষ কথা বলতে পারেন না। আমি কানাডার নারীদের বলতে চাই, আমরা সব সময় আপনার পছন্দের অধিকারের পক্ষে দাঁড়াব।’ 

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়া আইনি ছিল ৫০ বছরের পুরোনো। এর নাম ছিল ‘রো বনাম ওয়েড’। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালতের পুরোনো এ আইনটি বাতিল করেছে। 

এই রায়ের ফলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলো নিজস্বভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ফলে রাজ্যগুলো চাইলেই গর্ভপাতের অনুমতি দিতে পারবে কিংবা বাতিল অথবা সীমাবদ্ধ করতে পারবে। এতে অনেক নারীই হারাতে পারেন গর্ভপাতের অধিকার। অনেক রাজ্যেই গর্ভপাতের অধিকার নিষিদ্ধ হতে পারে। 

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

ধনী খদ্দেরদের জন্য কিশোরীদের যেভাবে বাছাই করতেন এপস্টেইন—উঠে এল এফবিআইয়ের তদন্তে

বিল ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের ছবিসহ ১৬ এপস্টেইন নথি গায়েব

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা

জনপ্রিয়তায় ধস: জাতির উদ্দেশে ভাষণে নিজের গুণগান আর সেনাদের খুশি রাখার কৌশলে ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার তেল আমাদের সম্পদ, বললেন ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী

মাস্ক ‘মাদকসেবী’, ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ

ফিলিস্তিনসহ আরও যে ৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিল বিবিসি