অনলাইন ডেস্ক
ভূপাতিত করা চীনা নজরদারি বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ থেকে সেন্সর উদ্ধার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষে ইলেকট্রনিক ডিভাইসও ছিল বলে জানানো হয়েছে মার্কিন বাহিনীর পক্ষ থেকে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, বেলুনের ধ্বংসাবশেষ চীনকে ফেরত দেবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নর্দার্ন কমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, আটলান্টিক মহাসাগরের যেখানে চীনা নজরদারি বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ পড়েছে, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে সেন্সর ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অংশ রয়েছে।
গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের আকাশসীমা থেকে চীনা নজরদারি বেলুন ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় পড়ে।
মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, চীন ওই বেলুন পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সাইটগুলোতে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল।
তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, বেলুনটি বেসামরিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল এবং এটি ভুল পথে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে প্রবেশ করেছিল। এটি নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীনের নজরদারি বেলুনের টার্গেটে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও রয়েছে জাপান, ভারত, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ও ফিলিপাইন। এ বিষয়ে অন্তত ৪০টি দেশকে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তারা।
এদিকে গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আলাস্কার আকাশে প্রায় ৪০ হাজার ফুট উঁচুতে একটি সন্দেহজনক বস্তুকে উড়তে দেখা যায়। পরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে বস্তুটিকে যুদ্ধবিমানের সহায়তায় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে সন্দেহজনক বস্তু গুলি করে ভূপাতিত করার পর কানাডার আকাশসীমায়ও অনুরূপ বস্তু দেখা যায়। এ ছাড়া লাতিন আমেরিকার আকাশেও সন্দেহজনক বস্তু শনাক্তের কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।