প্রায় ৪৮ ঘণ্টা আটকে থাকার পর আজ মঙ্গলবার অবশেষে ভারত ছাড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জি-২০ সম্মেলন শেষ করে গত রোববারই তাঁর দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে বহনকারী বিমানটিতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ভারতে আটকে যান তিনি।
জানা গেছে, বিমানের ত্রুটি সারার অপেক্ষায় বাধ্য হয়েই ভারতে অবস্থান করতে হয়েছে ট্রুডোকে। এই সময়টুকু তিনি হোটেলেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ১৬ বছর বয়সী বড় ছেলে জেভিয়ার। ছেলের সঙ্গেই গল্প-গুজব করে ট্রুডোর সময় কেটেছে।
অবাক করা বিষয় হলো, ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির হোটেলে আটকে থাকা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো প্রতিনিধি দেখা করেননি। জাস্টিন ট্রুডোও হোটেল থেকে বের হননি।
জি-২০ সম্মেলন সামনে রেখে গত শুক্রবার ভারতে পা রাখা ট্রুডোকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। হোটেলে অবস্থান করা ট্রুডোর বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাকে শুধু স্বাগত জানাতেই যেতে বলা হয়েছিল। আর কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। অতিথির বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
সত্যিকার অর্থেই ট্রুডোর এবারের ভারত সফর খুব একটা মসৃণ হয়নি। অথচ ২০১৮ সালে ভারতে সস্ত্রীক দারুণ সময় কাটিয়েছিলেন এই প্রধানমন্ত্রী।
এবার জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ট্রুডো। বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে কানাডায় খলিস্তানিদের ক্রমবর্ধমান ভারতবিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তবে জাস্টিন ট্রুডো বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেননি বলে জানা গেছে। তিনি মূলত বাকস্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার বলে বিষয়টিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।