অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঝ আকাশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের পর দুটি উড়োযানই পটোম্যাক নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই সব ধরনের উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ করে দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এ অবতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, উড়োজাহাজটিতে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুসহ ৬৪ জন আরোহী ছিলেন। অন্যদিকে মার্কিন আর্মি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারে তিন জন সেনা ছিলেন। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান থাকলেও হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পিএসএ এয়ারলাইনসের বম্বার্ডিয়ার সিআরজে ৭০০ উড়োজাহাজটি ক্যানসাসের উইচিটা থেকে ওয়াশিংটনে যাচ্ছিল।
বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী নৌকা পোটোম্যাক নদীতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ওয়াশিংটন ডিসির জরুরি সেবা দল রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে উপস্থিত হয়েছে। দমকল বাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। পটোম্যাক নদীর তীরে উড়োজাহাজটির কিছু ধ্বংসাবশেষ মিলেছে।
হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি করোলিন লেভিট ফক্স নিউজ বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার এলাকার জনগণকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। তাদের কাজে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে, যাতে তাঁরা জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করতে পারে।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, ‘পিএসএ এয়ারলাইন্সের পরিচালিত আমেরিকান ঈগল ফ্লাইট ৫৩৪২ কানসাসের উইচিটা থেকে ওয়াশিংটন রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। সেটি দুর্ঘটনায় পড়েছে আমরা অবগত হয়েছি।’
এফএএ ও ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে এনটিএসবি।
এ ঘটনাকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। জরুরি সেবা কর্মীদের তাঁদের অবিশ্বাস্য কর্ম দক্ষতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্টে বলেছেন, ‘দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার জন্য প্রার্থনা করুন।’
মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা যায়, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও এই দুর্ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে অন্তত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।