মার্কিন সিনেটরদের একটি গ্রুপ বন্দুক নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য আইন প্রণয়নে সম্মত হয়েছেন। এই আইনে ২১ বছরের কম বয়সী বন্দুক ক্রেতাদের পূর্ব ইতিহাস কঠোরভাবে খতিয়ে দেখা হবে এবং অবৈধ বন্দুক কেনার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশজন আইনপ্রণেতা গুরুত্বপূর্ণ এ প্রস্তাবনা এনেছেন। সেখানে ১০ জন রিপাবলিকান রয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বন্দুক সুরক্ষা আইন পরিবর্তনে যে সব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিলেন, সেই তুলনায় সিনেটরদের একাংশের এ সম্মতি খুবই সামান্য।
বন্দুক আইন কঠোর করার এর আগের প্রচেষ্টাগুলো কংগ্রেসে প্রয়োজনীয় সমর্থন পায়নি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বড় বড় বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বন্দুক আইন সংশোধনের দাবি হাজারো মানুষ দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে।
সিনেট গ্রুপটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ আমরা মার্কিন শিশুদের সুরক্ষা দিতে, স্কুলগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে এবং দেশজুড়ে সহিংসতা কমাতে একটি দ্বিপক্ষীয় প্রস্তাব ঘোষণা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে ঘরে ভয় ঢুকে গেছে। এখন আমাদের কর্তব্য হচ্ছে, সবাই একত্রিত হওয়া, যাতে আমাদের সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাবোধ পুনরুদ্ধার করা যায়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্রুত এসব প্রস্তাব পাস করতে আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট যত দ্রুত চাচ্ছেন, ততটা দ্রুততার সঙ্গে এটি পাস হবে না বলেই মনে করেন মার্কিন আইন প্রণেতারা।
জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি যা প্রয়োজন মনে করি তার সব এই প্রস্তাবনায় নেনই। তারপরও এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সঠিক পদক্ষেপগুলোকে প্রতিফলিত করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের অস্ত্র রাখার অধিকারটি প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো। ফলে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। বিশেষ করে রক্ষণশীল দলের আইনপ্রণেতারা এর পক্ষে রয়েছেন।