বাংলাদেশে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কিরবি এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক বাংলাদেশ ও ভারত নিয়ে দুটি প্রশ্ন করেন। বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন করার সময় তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের হত্যা এবং তাঁদের মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগে কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দুদের কয়েকটি দল বিক্ষোভ করছে। এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট অবগত আছেন কি না? জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বন্ধু ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন কি না?’
জবাবে কিরবি বলেন, ‘আমরা খুব, খুব, খুব গুরুত্বের সঙ্গে এই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রেসিডেন্ট নিজেও এই বিষয়ে নজর রাখছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’
কিরবি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সব দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার সময় আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে সব বাংলাদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’