অনলাইন ডেস্ক
মেক্সিকোর আলোচিত মাদকসম্রাট ইসমায়েল এল মায়ো জামবাদা এবং একসময়ের আলোচিত মাদকসম্রাট জোয়াকিন আর্চিভালদো গুজমান লোয়েরা তথা এল চ্যাপোর ছেলে জোয়াকিন গুজমান লোপেজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেপ্তার করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
ইসমায়েল জামবাদা জোয়াকিন আর্চিভালদো গুজমান লোয়েরা তথা এল চ্যাপোর অন্যতম সহযোগী ছিলেন। তাঁরা দুজনে মিলে মেক্সিকো তো বটেই বিশ্বের ইতিহাসে কুখ্যাত মাদক চক্র সিনোলা কার্টেল গড়ে তুলেছিলেন। পরে অবশ্য এল চ্যাপোকে মেক্সিকো থেকে নিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং তাঁকে উচ্চ নিরাপত্তার একটি কারাগারে রাখা হয়েছে।
এদিকে, জামবাদা ও জোয়াকিন গুজমান লোপেজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় রাস্তায় মাদকের বিস্তার ঘটানো অন্যতম। বিশেষ ফেনটানিলের মতো মাদকের বিস্তার ঘটানোর অভিযোগ আছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এ মাদকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সসীমার মধ্যে বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জামবাদা ও এল চ্যাপোর ছেলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মার্কিন দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ইসমায়েল এল মায়ো জামবাদা এবং জোয়াকিন গুজমান লোপেজ একটি ফ্লাইট থেকে টেক্সাসের এল পাসো বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গুজমান লোপেজ এল চ্যাপোর চার ছেলের একজন। যিনি ডাক নাম লস ক্যাপিতোস এ লিটল চ্যাপো নামেও পরিচিত। এই লিটল চ্যাপোই সিনোলা মাদক চক্রে তাঁর বাবার অংশের দেখভাল করতেন। এর আগে, লিটল চ্যাপোর ভাই অভিদিও গুজমানকে গত বছর মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনোলা কার্টেল বা মাদক চক্র যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হয়, এই চক্রই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ফেনটানিল মাদক সরবরাহ করে থাকে। কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশে মাদক পাচার করে সিনোলা কার্টেল। এই গোষ্ঠী মেক্সিকোর সবচেয়ে শক্তিশালী মাদক চক্রের একটি।