অনলাইন ডেস্ক
বক্ষবন্ধনী বা অন্তর্বাস না পরায় এক নারীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমনই অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস ডেলটা এয়ারলাইনসের এক ফ্লাইটের যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
লিসা আর্চবোল্ড নামে ওই নারী অভিযোগ করেছেন, ঘটনার দিন তিনি ঢিলেঢালা জিনস প্যান্টের সঙ্গে সাদা রঙের একটি টি-শার্ট পরেছিলেন। তবে তাঁর পরনে কোনো অন্তর্বাস ছিল না। এই অবস্থায় ইউএস ডেলটা এয়ারলাইনসের এক নারী কর্মী লিসাকে তাঁর বুক ভালোভাবে ঢাকতে বলেন। লিসার অভিযোগ, যদিও তাঁর স্তন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না, তবু তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে।
ঘটনার দিন পেশায় ডিসকো জকি বা ডিজে ৩৮ বছরের লিসা যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশালী অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত ইউটাহের সল্ট লেক থেকে সান ফ্রান্সিসকোয় যাচ্ছিলেন। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে লিসা বলেন, ‘পুরো ঘটনার পর মনে হচ্ছিল, আমার গায়ে যেন ব্যাভিচারিনীর তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ইউএস ডেলটা এয়ারলাইনসের সেই নারী কর্মীর দিকে ইঙ্গিত করে লিসা বলেন, ‘সে আমাকে বিমানের বাইরে যেভাবে গালিগালাজ করছিল তাতে আমার মনে হচ্ছিল, আমি তাঁর দৃষ্টিতে পরিপূর্ণ নারী না এবং এ কারণে আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এই নাটক খাঁড়া করা হয়েছে।’
লিসার অভিযোগ, বিমান সংস্থাটির ওই নারী কর্মী তাঁকে বলেছেন, তাঁর পোশাক অনেক বেশি দেহভঙ্গিমা ফুটিয়ে তুলছে এবং তা আপত্তিজনক। তো এ ক্ষেত্রে লিসা যদি টি শার্টের ওপর জ্যাকেট না পরেন, তবে তাঁকে বিমানে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে ইউএস ডেলটা এয়ারলাইনস বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন লিসা। অভিযোগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই বৈষম্যমূলক নীতি নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
লিসার আইনজীবী গ্লোরিয়া অলরেড বলেছেন, ‘আমি যাচাই করে দেখেছি যে, তালেবানরা ডেলটা পরিচালনা করছে না। তাহলে এমন আচরণ কেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘স্তন তো কোনো অস্ত্র নয় এবং কোনো নারী বা তরুণীর স্তন থাকা কোনো অপরাধও নয়।’ অলরেড আরও জানিয়েছেন, তাঁরা এই ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।