হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

ট্রাম্পের বাড়ি থেকে গোপন নথি জব্দ করেছে এফবিআই

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১১টি গোপন নথি জব্দ করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছে, গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁর ফ্লোরিডার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব নথি জব্দ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন বিচার বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদিত তল্লাশি পরোয়ানার ভিত্তিতে চার দিন আগে ট্রামের মার-এ-লাগোতে তল্লাশি চালায় এফবিআই। তবে পরোয়ানায় কী লেখা ছিল তা জানানো হয়নি।

এদিকে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, নথিগুলো ‘শ্রেণিবদ্ধ’ ও ‘নিরাপদ সংরক্ষণে’ রাখা হয়েছিল। এসব জব্দ করার প্রয়োজন ছিল না। রাজনীতির খেলা না খেলে তারা চাইলেই যেকোনো সময় এসব পেতে পারত।

রয়টার্স জানিয়েছে, ডেমোক্রেটিক নেতা জো বাইডেনের কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার সময় ট্রাম্প অবৈধভাবে নথিপত্র সরিয়েছিলেন কি না, তা তদন্ত করার উদ্দেশ্যে ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এফবিআই।

এফবিআই বলেছে, তিনটি আইনের ওপর ভিত্তি করে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। নথিগুলো যতই শ্রেণিবদ্ধ করা হোক না কেন, সরকারি নথি সরিয়ে ফেলা একটি অপরাধ। 

তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই ইস্যুতে তিনি কোনো আইন ভঙ্গ করেননি।

এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২০টিরও বেশি বাক্স থেকে ৩০ টিরও বেশি জিনিসপত্র জব্দ করেছেন। এর মধ্যে ফটো বাইন্ডার, হাতে লেখা নোট, ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও বন্ধু রজার স্টোনের লেখা চিঠি এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যের তালিকা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলেছে, ট্রাম্পের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পরোয়ানা অনুমোদন করেছেন মার্কিন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক ব্রুস রেইনহার্ট। কারণ ট্রাম্প গুপ্তচরবৃত্তি আই লঙ্ঘন করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। এ আইনের ব্যবহার অপেক্ষাকৃত কমই ছিল। তবে ট্রাম্প ও তাঁর আগের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তামূলক তথ্য ফাঁস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন বিচার বিভাগ এ আইনের ব্যবহার বাড়িয়েছে। 

এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থায় কাজ করা এডওয়ার্ড স্নোডেন, সাবেক সামরিক গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিং এবং উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি আইনের ব্যবহার করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ

ধনী খদ্দেরদের জন্য কিশোরীদের যেভাবে বাছাই করতেন এপস্টেইন—উঠে এল এফবিআইয়ের তদন্তে

বিল ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের ছবিসহ ১৬ এপস্টেইন নথি গায়েব

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা

জনপ্রিয়তায় ধস: জাতির উদ্দেশে ভাষণে নিজের গুণগান আর সেনাদের খুশি রাখার কৌশলে ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার তেল আমাদের সম্পদ, বললেন ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী

মাস্ক ‘মাদকসেবী’, ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ

ফিলিস্তিনসহ আরও যে ৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিল বিবিসি