অনলাইন ডেস্ক
প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলারের মালিক ৪৭ বছর বয়সী মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ব্রায়ান জনসনকে অনেকে ছিটগ্রস্ত মনে করেন। কারণ শরীরের বয়সকে থামিয়ে দিতে গত কয়েক বছর ধরেই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করছেন তিনি।
বিগত বছরগুলোতে কিশোর বয়সী পুত্রের শরীর থেকে সংগ্রহ করা রক্তরস নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করা সহ বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছেন জনসন। দাবি করেছিলেন, বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই হলেও তিনি এখন ২০-এর দশকে থাকা কোনো যুবকের মতোই শরীরে শক্তি অনুভব করছেন। তবে সাম্প্রতিক একটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে তিনি কিছুটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সম্প্রতি ব্রায়ান জনসন তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের তিনটি ক্লোজআপ ছবি শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে দুটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর চোখ-মুখ বেশ কিছুটা ফুলে গেছে। যদিও তৃতীয় ছবিটিতে তাঁকে অনেক রুগ্ণ অবস্থায় দেখা গেছে।
ছবিগুলো ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জনসন জানান, বয়স কমানোর প্রজেক্ট ব্লুপ্রিন্টের একটি প্রক্রিয়ায় একজন শিশু দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করা চর্বি তাঁর মুখে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ইনজেকশন নেওয়ার ৩০ মিনিট পরই তাঁর দল বুঝতে পারে কিছু এটা ভুল হয়ে গেছে। কারণ সে সময় তাঁর চোখ ও মুখ মারাত্মকভাবে ফুলে যেতে শুরু করেছিল। শুধু তাই নয়, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আরও খারাপের দিকে যায়। কিছু সময়ের জন্য তিনি দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছিলেন।
পুরো বিষয়টিকে একটি বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন জনসন। তিনি জানান, বয়স কমানোর প্রজেক্ট ব্লুপ্রিন্টের একটি পর্যায়ে তাঁর ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা অনেক কমে গিয়েছিল। ফলে তাঁর শরীর থেকে প্রচুর চর্বি ঝরে যায়। তৃতীয় ছবিটিতে মূলত সেই অবস্থাটিই দেখা গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে চর্বির ঘাটতি পূরণের জন্য তিনি একটি শিশুর শরীর থেকে সংগ্রহ করা চর্বি নিজের মুখে ইনজেকশন করেছিলেন। এই চর্বি থেকেই অ্যালার্জির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জনসন এটাও জানিয়েছেন, ঘটনার সাত দিন পর তাঁর মুখ পুরোপুরিভাবে আবারও আগের মতোই হয়ে গেছে।